নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ দূর্গোৎসবের আগেই চিটফান্ড কান্ডে রাজ্যে সিবিআই হানা দেবে৷ একইসাথে, রাজ্যে

বিজেপি সরকার গড়লে চিটফান্ডে জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত সকল অভিযুক্তদেরকে খুঁজে বার করবে এবং আমানতকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো হবে বলেও দল ঘোষণা করেছে৷ রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদানের দাবীতে বিজেপি শনিবার রাজভবন অভিযান সংগঠিত করে৷ পরে রাজভবনের কাছে এক অস্থায়ী মঞ্চে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর এবং সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব৷ সম্ভবত এই প্রথম কোন রাজনৈতিক দল কর্মচারী স্বার্থে এধরনের কর্মসূচী পালন করেছে৷ কারণ, এদিন রাজভবন অভিযান উপলক্ষ্যে মিছিল কর্মাচরীর সংখ্যা খুবই নগন্য হলেও, বিরাট সংখ্যায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷
এদিন সভায় সুনীল দেওধর বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছায়নি৷ কিন্তু সেখানে চিটফান্ড পৌঁছে গেছে৷ মন্ত্রিসভার সদস্যা বিজিতা নাথ নিজেই বলেছিলেন যে, চিটফান্ডে অর্থ রাখার জন্য৷ তিনি নিজেও রাখেন বলে প্রচার করেছিলেন৷ কিন্তু এখন সব স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে চিটফান্ডে দূর্নীতিদের সঙ্গে যুক্ত ও সকল অভিযুক্তকে খঁুজে বের করা হবে৷ একইসঙ্গে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেবার বন্দোবস্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন৷ পাশাপাশি তিনি আরো জানান, দূর্গোৎসবের আগেই চিটফান্ড কান্ডে রাজ্যে সিবিআই আসছে৷
শ্রীদেওধর বলেন, শুধু রোজভ্যালী ইস্যুতে রাজ্য সরকার সিবিআই চাইতে পারত৷ কিন্তু, খুবই কৌশলে সিবিআই’র কাছে রাজ্য সরকার যে মামলাটি পাঠিয়েছে টাকার পরিমান কম রয়েছে৷ তাই, সিবিআই ত্রিপুরায় রোজভ্যালী বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করতে রাজী হয়নি৷ তবে, সিবিআই’র কাছে রোজভ্যালীর বিরুদ্ধে বহু নথী পাঠানো হয়েছে৷ ফলে, এখন রাজ্যে চিটফান্ড তদন্তে সিবিআই আসতে কেউ আটকাতে পারবে না, দৃঢ়তার সাথে জানান সুনীল দেওধর৷
এদিন তিনি আরও বলেন, ধর্মনগরে এক মুসলিম মহিলার উপর হামলা চালিয়ে সিপিএমের ক্যাডাররা বিজেপিকে অভিযুক্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে৷ বাম শাসনে ত্রিপুরা এখন মহিলা নির্যাতনে সাড়া দেশে প্রথম স্থান দখল করে আছে৷
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব বলেন, সিপিআইএম এরাজ্যে গরিবি জিয়ে রাখতে চায়৷ তাই সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হচ্ছেনা৷ কর্মচারীদের হাতে অর্থ এলে এই অর্থ বাজারে আসত৷ সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার মান অনেক উন্নত হত৷ তিনি বলেন, রেগার মজুরি ন্যায্যমূল্যের দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী বন্ধ করে দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রচার করছেন কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে৷ কিন্তু এটি সম্পূর্ণ অসত্যা৷ কেন্দ্রীয় সরকার রেগার বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তবে দূর্নীতি রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থাও করে দিয়েছে৷ আর এই জন্যই অপপ্রচার শুরু করেছে সিপিআইএম৷ এদিনের রাজভবন অভিযানে উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়৷ পরে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষা করে দাবী সনদ তুলে দেন৷

