সাধারণ বিবাদের জেরে সড়ক অবরোধ, দুই দলের সংঘর্ষে রাজনৈতিক হিংসার পারদ চড়ছে বিশালগড়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ৩১ মে৷৷ বিজেপির জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলন এবং পরে শাসক দলের সাথে সংঘর্ষের লিপ্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশালগড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে৷ রাজনৈতিক হিংসার পারদ চড়ছে৷
আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়ক অবরোধ করল কমলাসাগর বিজেপির মন্ডল কমিটি৷ গতকাল সন্ধ্যায় প্রায় সাতটা নাগাদ সিপি আইএম এর কর্মী সুমন দেব (৩০) ও বিজেপির কর্মী নকুল দাস (৪০) দুই জনের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে ঝাগড়ার সৃষ্টি হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশালগড় থানায় অভিযোগ করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে৷ সিপিআইএম -এর কর্মী সুমন দেবকে গ্রেপ্তার করা হল না কেন তারই প্রতিবাদে বিজেপির কমলাসাগর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়৷ সকাল এগারটা থেকে এই রাস্তা অবরোধ চলে দীর্ঘ এক ঘন্টা৷ দীর্ঘ এক ঘন্টা রাস্তা অবরোধের ফলে, সাধারণ জনগণ ও গাড়ির যাত্রীদের ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে৷ দেখা যায় প্রশাসনের থেকে শুরু করে সমস্ত লোকদের এই অবরোধের শিকার হতে হয়েছে৷ সেই বিষয়টি নিয়ে গাড়ির চালক ও যাত্রীরা অবরোধের সমালোচনা করতে থাকে৷ সাধারণ ঘটনাকে নিয়ে রাস্তা অবরোধ বিষয়টি জনমনে সমালোচনা চলতে থাকে৷ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ ও বিশালগড় মহকুমার পুলিশ আধিকারিক প্রবির পাল৷ অনেক আলোচনার পরও রাস্তা অবরোধ তুলতে নারাজ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা৷ তাদের দাবী যতক্ষন পর্যন্ত জেলা পুলিশ আধিকারিক না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত অবরোধ চলবে৷ পরে মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ২৪ ঘন্টার সময় দেন৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার করবে৷ তারপর রাস্তা অবরোধ তুলে নেয়৷
অন্যদিকে রাস্তা অবরোধ শেষ হতেই, শুরু হয়ে যায় দুই রাজনৈতিক দলের সংর্ঘষ৷ রাস্তা অবরোধ শেষ হওয়ার পর৷ সিপিআইএম এর পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যখন বিজেপির কর্মীরা যাচ্ছিলেন তখন সিপিআইএম-এর পার্টি অফিসে ঢিল ছঁুড়ে তারা৷ তখনই শাসক দলের লোকেরা তাদের গালি দেয়৷ সেই ঘটনা নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়৷ ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷ কিন্তু বিরাট উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়৷ তবে কোনো হতাহত হয়নি৷ এলাকাটিতে টিএসআর বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে৷ এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়৷ গোটা এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে৷ পুলিশ নজরাদারী চালিয়ে যাচ্ছে৷