BRAKING NEWS

১লা জুলাই চালু হচ্ছে জিএসটি, উপকৃত হবে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে৷৷ ১লা জুলাই গোটা দেশে চালু হচ্ছে গুডস এন্ড সার্ভিসেস টেক্স৷ তাতে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দাম কমছে৷ পাশাপাশি কর ব্যবস্থায় নতুন পদ্ধতির ফলে রাজ্য উপকৃত হবে৷ কারণ, এমন অনেক কর ছিল যার ভাগ রাজ্য পেত না৷ এদিকে, রাজ্যের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন৷ কারণ, নতুন এই কর ব্যবস্থায় পূর্বোত্তর সহ বিশেষ ক্যাটাগরির ১১টি রাজ্যের দশ লক্ষের নিচে যাদের বার্ষিক বাণিজ্য তাদেরকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে৷ ফলে তাদের জিএসটি চালু হলে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়৷ তাতে রাজ্যের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সকলকেই যেখানে ভ্যাট এবং সিএসটির নথিভূক্ত করা বাধ্যতামূলক ছিল, জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে তারা রেহাই পাবেন৷
শনিবার জিএসটি সম্পর্কে অর্থ দপ্তরের উদ্যোগে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা জানান, ১৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে দেশের ১২১১টি পণ্যকে চারস্তরিয় কর ব্যবস্থায় বন্টন করা হয়েছে৷ ৮৫টি পণ্যের উপর কোন বসবে না৷ ১৭০টি পণ্য ৫ শতাংশ, ২০৫টি পণ্য ১২ শতাংশ, ৫২১ টি পণ্য ১৮ শতাংশ এবং ২৩০টি পণ্য ২৮ শতাংশ কর স্তরে রাখা হয়েছে৷ স্বর্ণ এবং বিড়ির উপর কর কি বসানো হবে ঐ বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি৷ তবে, আগামী ৩রা জুন জিএসটি কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকে ঐ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন৷
এদিন তিনি জানান, ২০০৬ সালে গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স চালু করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সভাপতি করে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের পর দশ বৎসর পরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে বিলটি সাংবিধানিক রূপ পায়৷ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সভাপতি করে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জি এস টি কাউন্সিল৷ জি এস টি কাউন্সিলের ১৪তম বৈঠক ১৮ ও ১৯ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে৷ ঐ বৈঠকের আলোচনার বিস্তৃত তথ্য প্রকাশিত হবার পর জি এস টি সম্পর্কিত আরও বিষয় সুষ্পষ্ট হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷ বর্তমানে রাজ্যে ৭টি কেন্দ্রীয় কর এবং ৪টি রাজ্য কর চালু রয়েছে৷ জি এস টি চালু হবার ফলে এই ১১টি কর একত্রিত হয়ে একটি কর ব্যবস্থায় চলে আসবে, যার ফলে কর ব্যবস্থার সরলীকরণ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ জি এস টি-তে ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ মোট চারটি স্তরে কর রয়েছে৷ জি এস টি ব্যবস্থাটি অনলাইনে পরিচালিত হবে বলে তিনি জানানষ স্টেট জি এস টি – স্ব স্ব রাজ্যের নিবধানসভায় পাশ করাতে হবে৷ আগামী ২৩ মে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে দি ত্রিপুরা গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স, ২০১৭ বিলটি পেশ করা হবে বলে তিনি জানান৷ কর্মশালায় জি এস টি সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেন রাজ্যের জি এস টি -র নোডাল অফিসার অশীণ বর্মণ৷ কর্মশালায় প্রশ্ণোত্তর পর্বে জি এস টি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকরা আলোচনা অংশগ্রহণ করেন৷ কর্মশালায় স্বাগত ভাষণ রাখেন ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস ড দেবমিতা কিলিকদার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *