BRAKING NEWS

পুষ্টি প্রকল্প মার খাচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির দিদিমনি ও হেল্পারদের উদাসীনতায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২০ মে৷৷ কি হালে যে রয়েছে এ রাজ্যের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় না গেলে কোনোমতেই বুঝে উঠা মুশকিল৷ রাজ্যের বর্তমান বামফ্রন্ট সরকার বিভিন্ন সভা সমিতিতে দাবি জানায়, শিক্ষাকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দফতর৷ কিন্তু আদাতে এই উদ্যোগ কতটা স্বার্থক রূপ পাচ্ছে তা জানা যায় ওই সকল বিদ্যালয়গুলিতে পা রাখলেই৷ এলাকার লোকজনদের অভিযোগ সুকলের দালান বাড়ি নির্মাণ করে দিলেই ছাত্রছাত্রীরা যদি শিক্ষিত হয়ে উঠতো তবে কোন কথাই ছিলনা৷ কি রকম পরিকাঠামোগত দুর্বলতম ধুকছে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি তা ওই সকল এড়াকায় পা না রাখলে বুঝে উঠার উপায় নেই৷ এমনই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হল বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আশাবাড়ী দক্ষিণ পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি৷ সকাল সাতটায় এই কেন্দ্রের দিদিমনি এবং হেল্পার আসার কথা৷ কিন্তু কোন দিন আটটার আগেও সেন্টারে দিদিমনি ফাতেমা আক্তার প্রবেশ করেন না৷ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের হেল্পার স্বপ্ণা বেগম তিনিও তার দেখাদেখিতে আটটার সময় সেন্টারে আসে৷ আধ ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা থেকে দিদিমনি সোজা চলে যান বাড়িতে৷ ফলে, মিড-ডে মিল পরিষেবা ও ব্যাহত হচ্ছে দিনের পর দিন৷ এ নিয়ে এলাকার অভিভাবকরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমনি ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে উগড়ে দিলেন একরাশ ক্ষোভ৷ তারা জানান দিদিমনি সময়মত না আসার কারণেই পঠন পাঠন লাটে উঠেছে এবং তার মুখের ব্যাবহারের কারনে ছাত্র ছাত্রীরা এই সেন্টারে আসতে চায়না৷ এনিয়ে স্থানীয় লোকজনরা জানান দালাল বাড়ি নির্মাণ করে দিয়ে নিজের দায়িত্ব খালাস করে দিয়েছে আইসিডিএস৷ বক্সনগরের সি ডি পি ও রাজিব দাস যদি সময় মত একটু খোঁজখবর নিলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা এমনটা হত না বলেই মতামত সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনদের৷
এদিকে, মহকুমার আরও কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও অনুরূপ অবস্থা৷ নিয়মিত দিদিমনি ও হেল্পার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাচ্ছেন না৷ তাতে মা ও শিশু পুষ্টি প্রকল্প মাঠে মার খাচ্ছে৷ এদিকে, অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমনি হেল্পার শাসক দলের কট্টর সমর্থক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *