ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা আরও বাড়ল, আদালতের নির্দেশে বহাল ডিন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ অনিয়মের অভিযোগে উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেকে নোটিশ করল হাইকোর্ট৷ একই সঙ্গে বেআইনিভাবে কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ডিন হিসাবে নতুন নিযুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আগের ডিনকে মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত স্ব পদে কাজকর্ম পরিচালনার অনুমতি দিলেন মাননীয় বিচারপতি ও শুভাশিস তলাপাত্র৷ মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১৫ সালের ২৯ শে জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন পদে নিযুক্তি পেয়েছিলেন প্রফেসার সত্যদেও পোদ্দার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী কমপক্ষে তিন বছর এই পদে বহাল থাকার কথা৷ কিন্তু গত ৫ মে কতিপয় অধ্যাপকের অভিযোগ মূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্টার এক আদেশ মূলে অধ্যাপক পোদ্দারকে ডিন’র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন কিন্তু তার নিয়োগ বাতিল করেননি৷ অথচ আশ্চর্যজনকভাবে প্রফেসার পোদ্দারের নিয়োগ বাতিল না করেই ৮ মে প্রফেসার চন্দ্রিকা বসু মজুমদারকে কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন হিসাবে নতুন করে নিযুক্তি দিয়ে দেয় দেউ বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এই নিযুক্তির আগে প্রফেসার পোদ্দারকে তাকে বঞ্চিত করার কোন কারণ যেমন জানানো হয়নি তেমনি তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোন বক্তব্য পেশেরও সুযোগ দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী তিন বছর সময়কাল সমাপ্তির আগে তাকে কোনভাবেই এই পদ থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়৷ এই যুক্তি গুলির উপর ভিত্তি করে আইনজীবী অরিজিৎ ভৌমিক অধ্যাপক সত্যদেও পোদ্দারের হয়ে আদালতে মামলা করেন৷ এই মামলাটি বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রের কোর্টে শুনানির পর ডিন পদে নবনিযুক্তর উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়ে প্রফেসার পোদ্দারকে তার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন৷ একইসাথে নোটিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই বেআইনি কার্যকলাপের জবাব তলব করেছে উচ্চ আদালত৷