আইপিএফটির দুই গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত লেফুঙ্গা, টাক্কাল ও বল্লমের আঘাতে ছয়জন ঘায়েল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মে৷৷ অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে আইপিএফটি৷ দলটির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লেফুঙ্গা৷ টাক্কাল-বল্লম ইত্যাদি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ছয়জন৷ অল্পেতে রক্ষা পেয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক সহ অন্যান্যরা৷ বুধু দেববর্মা গোষ্ঠী এবং এন সি দেববর্মা গোষ্ঠীর মধ্যে গত কিছুদিন ধরেই চলছিল চাপান উতোর৷ আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের এভাবে প্রকাশ পাওয়ায় গোটা দলটিকেই ছারখার করে দিয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের৷
সংবাদে প্রকাশ, পূর্বঘোষিত সূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে লেফুঙ্গায় একটি কমিউনিটি হলে বৈঠক চলছিল বুধু দেববর্মা গোষ্ঠীর৷ সেই সময়ই দলের অন্যতম নেতা এন সি দেববর্মা গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা টাক্কাল ও ধারালো বল্লম নিয়ে ঐ বৈঠকে হামলা চালায়৷ এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে৷ মুহুর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ বৈঠকে বুধু দেববর্মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবীর কলই, সুবোধ দেববর্মা, অঘোর দেববর্মা, মঙ্গলিয়া দেববর্মা৷ তাছাড়া ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রাজেশ্বর দেববর্মাও৷
জানা গিয়েছে, এন সি গোষ্ঠীর সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রবীর কলই, সুবোধ দেববর্মা, অঘোর দেববর্মা ও মঙ্গলিয়া দেববর্মা৷ এছাড়াও আরো দুইজন রক্তাক্ত হয়েছেন৷ আহতদের জি বি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে৷ এদিকে, হামলার খবর পেয়ে লেফুঙ্গা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠায় পুলিশের পদস্থ অফিসাররা সেখানে পৌঁছেন এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ হিংসাশ্রয়ী ঘটনা এড়ানোর জন্য দলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের সাথে কথা বলেছেন পুলিশ অফিসাররা৷ তবে, এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে৷ বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ পিকেট৷ পুলিশের নজরদারী চলছে৷ গত ১৬ এপ্রিল আইপিএফটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর একে অপরের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনছিল৷ উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আইপিএফটি সর্ববৃহৎ বাম বিরোধী আঞ্চলিক দল ছিল৷ কিন্তু, ২০১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের জেরে দল বর্তমানে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *