BRAKING NEWS

রহিমপুর মাদ্রাসায় ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৭  এপ্রিল৷৷ সংখ্যালঘু মুসলিম পিছিয়ে পরা ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ভারতীয় কৃষ্টি সংসৃকতি সহ আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা গুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে৷ কিন্তু রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে চলছে হরির লোট৷ কোথাও নতুন ভবন নির্মাণে কেলেঙ্কারি কোথাও স্টাইপেন্ডের টাকা আত্মসাৎ, আবার ছাত্র ছাত্রীদের খাবারের টাকাও গিলে খাচ্ছে একাংশ শিক্ষক৷ যার বাস্তব চিত্র ধরা পড়েছে বক্সনগরের রহিমপুর ইসলামিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায়৷ এই মাদ্রাসায় গত দুই বছরে মিড ডে মিল খাবারের প্রায় দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী৷ এলাকার প্রায় ৬০ জন ব্যক্তি স্বাক্ষর প্রদান করে মাদ্রাসা সেলের ডেপুটি ডাইরেক্টরের নিকট ২৯ মার্চ অভিযোগ পত্রটি প্রদান করেন৷ এলাকাবাসী জানান এই মাদ্রাসায় ৩/৪ বছর পূর্বে তৎকালীন মহকুমা শাসক শুভাশিষ দাস তদন্ত করে মিড ডে মিলের রেজেস্ট্রি খাতায় কিছু গড়মিল পেয়ে ডাইরেক্টরের নিকট রিপোর্ট করেছিলেন৷ তারপর মাদ্রাসায় ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে আসে সুমন মিঞা৷ শিক্ষক সুমন মিঞা হগব মার্কার সুবিধা নিয়ে গত দুই বছরে প্রায় দুই লক্ষ টাকা মিড ডে মিল থেকে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ৷ ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টাকা দুই বছর শিক্ষক সুমন মিঞা ছাত্রছাত্রীদের গড় উপস্থিত ছিল সেখানে ৫২ দিন সেখানে মিড ডে মিলের ফিডিং খাতায় ১১৮ দিন করে দেখানো হয়েছে৷ অভিযোগকারীদের হিসাব অনুযায়ী দুই বছরের মিড ডে মিলে খাওয়ানো হয়েছে প্রায় ৬০০ দিন৷ এই শিক্ষক বাবু প্রতিদিন ৬৬ জন অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রীর হাজিরা দেখিয়ে ৩৯৬০০ জন ছাত্রছাত্রীর মিড ডে মিলের খাবারের টাকা আত্মসাৎ করেছে৷ এলাকাবাসী অভিযোগ পত্রে দুই বছরের প্রতিটি মাস অনুযায়ী তথ্য তুলে ধরেছে৷ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৩৯৬০০ ছাত্র ছাত্রীর সেই বরাদ্দ হওয়ার কথা ১,৬৭,২০০ টাকা৷ অভিযোগকারীরা মাদ্রাসা সেলের ডাইরেক্টরের কাছে অভিযোগ পত্রটি জমা দেয়৷ যার প্রতিলিপি শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক সহ মহকুমা শাসক ও জনপ্রতিনিধিদের হাতে জমা দিয়েছে৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষক সুমন মিঞার সাথে এলাকার শাসক দলের নেতাদের সুসম্পর্ক থাকায় অভিযোগ জানানোর পরও দপ্তর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *