নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ মানব সম্পদ উন্নয়নে দক্ষিণের রাজ্যগুলি যেমন তামিলনাড়ু, কেরালা সারা দেশের মধ্যে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় সাফল্য দেখিয়েছে৷ বিশেষ করে কেরালা মানব সম্পদ উন্নয়নে সমস্ত ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখল করতে পেরেছে৷ এই দাবি করে সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য, কেরালা স্বাক্ষরতায় গোটা দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে এবং সমাজ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি করতে পেরেছে৷ সেজন্যই মানব সম্পদ উন্নয়নে কেরালা গোটা দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে৷ তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ণ উঠেছে, ত্রিপুরা স্বাক্ষরতায় দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করতে পারলেও মানব সম্পদ উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে কেন?
রবিবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফিজিওথ্যারাপি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ শ্রীচৌধুরী বলেন, দেশে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে৷ কিন্তু, খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত না করা পর্যন্ত এবং মানুষের সচেতনতার স্তর বৃদ্ধি না হলে পরিকাঠামো উন্নয়নের সুফল মিলবে না৷ তিনি মনে করেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে বুনিয়াদী শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিশেষভাবে জরুরী৷ এই প্রসঙ্গে এক উদাহরণ তুলে ধরে শ্রীচৌধুরী বলেন, দেশের মধ্যে দক্ষিণী রাজ্যগুলি মানব সম্পদ উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে৷ তালিমনাড়ু, কেরালার এক্ষেত্রে সাফল্য রয়েছে৷ বিশেষ করে কেরালা মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সফল৷ এই সফলতার পিছনে সাংসদ শ্রীচৌধুরীর যুক্তি, কেরালা স্বাক্ষরতায় গোটা দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে৷ সমাজ ব্যবস্থার উন্নতিতেও কেরালা সফলতা অর্জন করতে পেরেছে৷ তাই মানব সম্পদ উন্নয়নে কেরালা সফলতা অর্জন করেছে৷ তাঁর দাবি, বুনিয়াদী শিক্ষা এবং পুষ্টি শিশুদের জন্য খুব জরুরী৷ এই দুটি বিষয়কে বাদ দিয়ে মানব সম্পদের বিকাশ সম্ভব নয় বলে দাবি শ্রীচৌধুরীর৷ তিনি আরো বলেন, গোটা বিশ্বেই এখন স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে৷ এদিন তিনি স্পষ্ট করে দেন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতি ছাড়া মানব সম্পদের বিকাশ কোনভাবেই সম্ভব নয়৷
ফলে, রাজ্য মানব সম্পদ উন্নয়নে কেন পিছিয়ে রয়েছে তা শ্রীচৌধুরীর বক্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং গুণগত শিক্ষার অভাবে ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষিত না হওয়া মানব সম্পদ উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নতি না হলে, কেবল স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে মানব সম্পদের উন্নয়ন সম্ভব নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট৷