BRAKING NEWS

ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে তাচ্ছিল্য, অসমের আদালতে কেজরির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

গুয়াহাটি, ১১ এপ্রিল, (হি.স.) : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে অসমের এক আদালত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তাচ্ছিল্যভরা মানহানিকর ট্যুইট করার অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজ্যের পাহাড়ি জেলা কারবি আংলঙের জেলা দায়রা আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন কারবি আংলং স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য সূর্য রংফার।
পরবর্তীতে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় ৪৫৯/১৬ নম্বরে রুজু মামলার শুনানি গ্রহণ করতে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমন জারি করে জেলা আদালত। কিন্তু কোনও কাজের অজুহাতে সেদিন তিনি ব্যস্ত থাকবেন, তাই ওই নির্দিষ্ট দিন আদালতে হাজির হতে পারবেন না এবং এর জন্য আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়ে তাঁর কৌঁসুলির মাধ্যমে এক ওকালতনামা আদালতে দাখিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
সে অনুযায়ী গত ৭ এপ্রিল সশরীরে তাঁকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এদিনও দিল্লি পৌরনিগম নির্বাচনের দোহাই দিয়ে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না এবং ফের আরও সময় চেয়ে ওকালতনামা দাখিল করেন অরবিন্দের কৌঁসুলি।
এতে বেজায় চটেছেন জেলা দায়রা বিচারপতি। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই আবেদন খারিজ করে তাঁর বিরুদ্ধে দশ হাজার টাকার জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ৮ মে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নবকুমার ডেকাবরুয়া।
এই তথ্য দিয়ে বাদি কারবি আংলং স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য সূর্য রংফারের কৌঁসুলি কিশোরকুমার দত্ত জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তাচ্ছিল্যভরা ট্যুইট পড়ে তাঁর মক্কেল মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। কেজরিওয়াল তাঁর ট্যুইটে উচ্চ মাধ্যমিকের পর যে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র প্রধানমন্ত্রী দেখাচ্ছেন তার সবটাই জাল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মনেগড়া অভিযোগের সত্যতা জানতে এবং মিথ্যা, দুরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচারের প্রবণতা থেকে অরবিন্দকে বিরত রাখার তাগিদে আদালতের শরণপন্ন হয়েছেন আইনজীবী কিশোরকুমার দত্তের মক্কেল সূর্য রংফার।
তবে তাঁর মক্কেলের উদ্ধৃতি দিয়ে কৌঁসুলি দত্ত জানিয়েছেন, এ ধরনের কুকাণ্ডের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি ক্ষমা চেয়ে নেন তা হলে মামলা প্রত্যাহার করার কথা ভাবা হবে।
এদিকে, যদি কোনও কারণে ৮ মে ফের আদালতে গরহাজির হন, তা তহলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশারদরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *