BRAKING NEWS

ব্যবসায়ীদের কাছে মাথা নত করল পুর নিগম, চৈত্র মেলা শিশু উদ্যানে নয়, শকুন্তলা রোডেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ শেষ পর্যন্ত চৈত্র মেলার ব্যবসায়ীদের কাছে মাথা নত করল আগরতলা পুর নিগম৷ শিশু উদ্যানে নয়, এবারেও চৈত্র মেলা শকুন্তলা রোডেই হচ্ছে৷ মঙ্গলবার পুর নিগমের মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের অনুরোধেই নাকি শেষ পর্যন্ত পুর নিগম শকুন্তলা রোডেই ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে৷ তবে, ব্যবসায়ীরা পুর নিগমকে জানিয়েছে আগামী বছর থেকে তারা শিশু উদ্যানেই চৈত্র মেলায় পসরা সাজিয়ে বসবেন৷ পুর নিগমের একরাতে ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে যাওয়ার পেছনে কী রহস্য রয়েছে এনিয়ে শহরবাসীর মধ্যে জল্পনা চলছে৷
সোমবার পর্য্যন্ত পুর নিগমের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে চৈত্র মেলা হবে শিশু উদ্যানেই৷ এজন্য পুর নিগমের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে৷ নিগম কোন ভাবেই তাদের সিদ্ধান্ত থেকে নড়বে না৷ কিন্তু, মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে শকুন্তলা রোডে যথাস্থানে ব্যবসায়ীরা দোকন খুলে পসরা সাজিয়ে বসেছেন এবং যথারীতি বিকিকিনিও হচ্ছে৷ ব্যবসায়ীদের তরফ থেকেও সোমবার সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারা যাই কিছু হোক না কেন তারা শকুন্তলা রোডেই চৈত্র মেলা করবে এবং বিকিকিনি করবেন৷ ব্যবসায়ীরা পুর নিগমের ভূমিকার প্রতিবাদে সোমবার পথ অবরোধও করেছিল৷ ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের বাগে আনার জন্য মহকুমা শাসককেও মাঠে নামতে হয়েছিল৷ তারপরও পুর নিগম কর্তৃপক্ষ শিশু উদ্যানেই মেলা করার সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিল৷
এদিকে, পুর নিগমের মেয়র মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারও চৈত্র মেলার ব্যবসায়ীদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে নিগম কর্তাদের বৈঠক হয়েছে৷ ঐ বৈঠকে নিগম তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং ক্ষুদ্র দরিদ্র ব্যবসায়ীদের দাবীতেই সীলমোহর দিল এবং শকুন্তলা রোডেই ব্যবসা করার অনুমতি প্রদান করে৷ এদিকে, একটি অভিযোগ উঠেছে শকুন্তলা রোডে যারা চৈত্র মেলায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন তাদের কাছ থেকে একটি মহল টাকা নিচ্ছে৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, এমনটা হবার কথা নয়৷ তিনি চৈত্র মেলায় যারা দোকান খুলে বসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন কাউকে কোন টাকা দেবার প্রয়োজন নেই৷ চাইতে গেলেও দেবেন না৷ তিনি আরও জানান, শকুন্তলা রোডে চৈত্র মেলায় প্রতিদিন সকালে পুর নিগমের কর্মীরা সাফাই করবেন নিয়মিত৷ শুধু তাই নয় পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এছাড়া আলোর ব্যবস্থাও রয়েছে৷
পুর নিগমের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে৷ যেখানে রাজপথে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ তার ওপর কীভাবে নিগম অনুমতি প্রদান করল৷ যদিও নিগমের বক্তব্য হচ্ছে শিশু উদ্যানে সংস্কারমূলক কিছু দূর্বলতা রয়েছে৷ জল কাদা জমে গিয়েছে তাতে সত্যিই ব্যবসায়ীদের সমস্যা হবে৷ সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই শকুন্তলা রোডে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তাহলে কেন পুর নিগম আগে থেকে শিশু উদ্যানকে সেই ভাবে তৈরী করেনি যাতে চৈত্র মেলার আয়োজন করা যায়৷ এই প্রশ্ণ জনমনে রয়েই গেল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *