এলাহাবাদ, ২ এপ্রিল (হি.স.) : নতুন ভারত গঠনে বিচারবিভাগকে উন্নত প্রযুক্তির আওতায় অানার পরমর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । রবিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করে তিনি বলেন, বিচারবিভাগকে আরও উন্নত করতে প্রযুক্তি বিরাট ভূমিকা নিতে পারে। আর নতুন ভারত গড়তে বিচারবিভাগের নৈপুণ্য অত্যন্ত জরুরি । এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসে ১,২০০-র বেশি অপ্রয়োজনীয় আইনকে চিহ্নিত করেছে এগুলি বাতিল করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে দিতে হয়রান হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। আদালতে আসেন, তারপর শোনেন, মামলার শুনানি অন্য আর একদিন হবে। তার থেকে এমন করা যায় না, আগামী শুনানির দিনটা পুলিশকর্মীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পৌঁছে গেল? তা হলে আর তাঁকে বারবার আদালতের দরজায় ঘুরতে হবে না।পুলিশ স্টেশনগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের যোগাযোগের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এতে যে শুধু সময় আর অর্থ বাঁচবে তা নয়, তদন্তও অনেক উন্নত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে বিচারবিভাগ রীতিমত বড় ভূমিকা নেয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল বিচারবিভাগ।আর এই বিচারবিভাগকে আরও উন্নত করতে প্রযুক্তি বিরাট ভূমিকা নিতে পারে। আর নতুন ভারত গড়তে বিচারবিভাগের নৈপুণ্য অত্যন্ত জরুরি ।
তাঁর কথায়, আগে সেরা আইনজীবীরাও মোটা মোটা বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে আইন আর পুরনো রায়ের খুঁটিনাটি জানতেন। এখন এসে গিয়েছে গুগল গুরু। মুহূর্তে উত্তর সামনে চলে আসছে। এর ফলে আদালতে সওয়াল জবাবের ধার যেমন বেড়েছে, তেমনই সহজ হয়েছে বিচারকদের কাজ।
এদিন জমে থাকা বিপুল মামলা নিয়ে বিচারকের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে খেদ প্রকাশ করেন প্রধানবিচারপতি খেহর। জমে থাকা মামলার পাহাড় কমাতে গরমের ছুটির সময় বিচারকদের অন্তত পাঁচ দিন কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। এই দিনগুলোতে অন্তত দশটি মামলার নিষ্পত্তির নিদানও দেন । এরপরই মোদী বলেন, ‘আমি প্রধান বিচারপতিকে জানাতে চাই যে সরকার জমে থাকা মামলার চাপ কমাতে বদ্ধপরিকর।’ সেই চাপ কমানোর রূপরেখা হিসেবে মামলার ডিজিটাল সংরক্ষণ এবং অপ্রয়োজনীয় আইন বাতিল করার ওপর জোর দেন মোদী। তিনি বলেন, ১২০০ পুরনো আইন চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর বিলোপ করা হবে। বিচারের কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তার প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী ।