নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ মার্চ৷৷ শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বড় ধাক্কা গেল রাজ্য সরকার৷ রায় বেরুতেই ময়দানে নেমে পড়ল বিজেপি৷ পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও৷ বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে৷ বিজেপি শিক্ষকদের চাকুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোটালা হয়েছে এই অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে৷ উচ্চ আদালতে এই ঘোটালার সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাবে বিজেপি৷ এদিকে, সিপিএম সুপ্রিমকোর্টের এই রায় অমানবিক বলে মন্তব্য করেছে৷
বুধবার বিজেপি রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে সরকারে টিকে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বামফ্রন্ট৷ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি জানান, যতদিন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন না ততদিন সারা রাজ্যে বিজেপি যুব মোর্চা ধিক্কার কর্মসূচী পালন করবে৷ তিনি আরো জানান, শীঘ্রই উচ্চ আদালতে শিক্ষকদের চাকুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘোটালা হয়েছে এই অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আবেদন জানানো হবে৷ তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার অপরাধ করেছে৷ এর সাজা হওয়া উচিত৷ রাজ্যের সমস্ত বেকারদের প্রশ্ণ তারা কেন চাকুরি পাননি৷ রাজ্য সরকার চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াবে শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে শ্রীদেওধরের কটাক্ষ, এই কথা বলে পাপ কম হবে না৷ রাজ্য সরকার যে অন্যায় করেছে তার সাজা পেতেই হবে৷ তিনি আরো জানান, সারা রাজ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন৷ তাঁর মতে, সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত৷ পাশাপাশি তিনি চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন৷ রাজ্য সরকার তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দায়িত্ব গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন৷ এদিকে, এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি বলেছে, সুপ্রিমকোর্ট ১০,৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুতির ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে যে আদেশ দিয়েছে তা অমানবিক৷ এই আদেশের ফলে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন৷ পার্টি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল৷
2017-03-30

