নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মার্চ৷৷ সৎ বোন ও বাবার বকাবকিতে অভিমানি নাবালিকা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল৷ তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, শেষ রক্ষা হয়নি৷ নয়দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বৃহস্পতিবার তার জীবনদীপ নিভে গেছে৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, পশ্চিম গকুলনগরের বাসিন্দা হরিধন সরকারের মেয়ে আশারাণী সরকার(১৪) গত ১৬ মার্চ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে জি বি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে৷
জানা গেছে, ঐ নাবালিকার বাবা হরিধন সরকার দুই বিয়ে করেছেন৷ দুই স্ত্রীই প্রয়াত৷ তার প্রথম স্ত্রীর দুই কন্যা সন্তানের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান আশারাণী৷ মা মারা যাওয়ার পর থেকে তার অকথ্য নির্যাতন চলছিল৷ কখনো বাবা, আবার কখনো সৎ বোনেরা তাকে বকাবকি করতেন৷ গত ১৬ মার্চ তাকে প্রচন্ড বকাবকি করেন তার বাবা ও দুই সৎ বোন৷ এরপরই অভিমানে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় আশারাণী৷ অগ্ণিদগ্দ অবস্থায় তাকে জি বি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গেছে৷ নয়দিন প্রচন্ড যন্ত্রণায় সহ্য করে অবশেষে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়েছে৷ তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
এদিকে, পারিবারিক অশান্তির জেরে এক ব্যাক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন৷ জানা গেছে, গর্জি জোয়ালিপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের(৩৫) সাথে তার স্ত্রী সোমা দাসের মাস দেড়েক ধরে ঝামেলা চলছিল৷ স্বামী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই আশঙ্কার তাদের পরিবারে অশান্তি চলছিল৷ এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি বিশ্বজিৎ দাস প্রায় সময় মদমত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হত৷ তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে৷ গতকালও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়৷ একসময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বিশ্বজিৎ দাস৷ রাতে স্থানীয় জনগণ এলাকায় একটি বাজারে দোকানের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসকরা জানান তিনি বিষ পান করেছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ চিকিৎসকরা তাকে জিবি স্থানান্তর করেন৷ জি বি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়েছে৷
2017-03-24