নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১৭ মার্চ৷৷ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে নয়টি দোকান৷ তাছাড়া সাতটি দোকানের
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/03/Fire-At-Kailasahar-300x180.jpg)
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ অগ্ণিকান্ডটি হয়েছে শুক্রবার দুপুর দুইটা নাগাদ কৈলাসহর পুরান মোটর স্ট্যান্ড এলাকায়৷ এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যথাসময়ে না পৌঁছায় এবং ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে পিটিয়ে তক্তা করেছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ কৈলাসহর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ বিভিন্ন স্থান থেকে তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন আয়ত্বে আনেন৷
সংবাদে প্রকাশ, শুক্রবার দুপুর দুইটা নাগাদ আচমকা পুরান মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ণ এলাকায় একটি দোকানে আগুন লাগে৷ মুহুর্তের মধ্যেই অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ এদিকে আগুন দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনগণ বিষয়টি কৈলাসহরস্থিত ফায়ার স্টেশনে জানানোর উদ্যোগ নেয়৷ বহু বার ফোন কল করা হয়৷ কিন্তু, বিএসএনএল এর পরিষেবা মুখ থুবরে পড়ায় খবর দেওয়া সম্ভব হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে৷ তারপর কোনও রকমে খবর পেয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷ তাদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার জনগণ৷ তারপর দমকলের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়৷ জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি৷ এ যেন আগুনে ঘৃতাহুতি৷ ক্ষুব্ধ জনতা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে বেধরক মারধর করে৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে কৈলাসহর থানার পুলিশ৷ কোনরকমে ক্ষুব্ধ জনতাকে মেনেজ করে পুলিশ৷ ততক্ষণে কুমারঘাট, ধর্মনগর এবং পানীসাগর থেকে তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷ দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আসে৷ ইতিমধ্যেই নয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷
এদিকে, অগ্ণিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন জেলা শাসক, মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারীকরা৷ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে অগ্ণিকান্ডের কারণ শর্ট সার্কিট৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা৷ যেসব দোকান এদিন পুড়ে গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে একটি হোমিও ফার্মেসি, জুতোর দোকান, মোবাইলের দোকান৷ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কোপারেটিভ ব্যাঙ্ক ও বিদ্যুৎ নিগমের অফিস৷