নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি৷৷ আন্তর্জাতিক মেলাপ্রাঙ্গণে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৭তম ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা৷ সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী এই মেলার উদ্বোধন করবেন৷ অন্যান্যদের মধ্যে এই মেলায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্য সভার সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য, লোকসভার সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার মোঃ শেখওয়াত হোসেন, বিধায়ক রাজকুমার চৌধুরী এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এম নাগারাজু৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা ভি জেনার৷
এদিন তিনি জানান, অন্যান্য বছরের মত এবছর সরকারি ও সরকার অধিকৃত, স্থানীয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং বর্হিরাজ্য থেকে বিভিন্ন সংস্থা এই মেলায় স্টল দেবেন৷ এবছর মোট ১৩৩টি স্টল খুলবে মেলাতে৷ বাংলাদেশ থেকে জামদানি শাড়ি, জুট সিল্ক, খাদ্য সামগ্রী, মেলামাইন, প্লাস্টিক সামগ্রী, বুটিক আচার এবং কাঠের তৈরি হস্তকারু শিল্প প্রদর্শনী হবে এই মেলাতে৷ বর্হিরাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, তামিলনাড়ু, ঝাড়খন্ড, আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে জুয়েলারি, কটন ফেব্ররিস্ক, হস্ততাঁত, হার্বাল প্রোডাক্ট, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, ট্রান্সফরমাস, সিল্ক এবং কটনের সামগ্রী প্রদর্শনী করা হবে৷ এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা প্রচুর সামগ্রী নিয়ে এই মেলায় প্রদর্শনী করবে৷ নেডফি, বিএসএনএল, রাবার বোর্ড ও ওএনজিসি’রও প্রদর্শনী থাকবে এই মেলাতে৷ রাজ্য সরকারের অধীনস্থ পিএসইউ এবং সোসাইটিগুলিও এই মেলায় অংশ নিচ্ছে৷
এদিন, শ্রীজেনার জানিয়েছেন, গত বছর মেলায় ৩ কোটি ১০লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে৷ তবে, এবছর বিকিকিনি বাড়বে বলে দপ্তর আশা করলেও তাতে অনেকটাই ভাটা পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কারণ, গত বছর ২০৬টি স্টল প্রদর্শনী হয়েছিল মেলাতে৷ সে জায়গায় এবছর স্টলের সংখ্যা মাত্র ১৩৩টি৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং বর্হিরাজ্য থেকে গত বছরের তুলনায় এবছর মেলায় অংশগ্রহণের হার কমেছে৷ শ্রী জেনা জানিয়েছেন, গত বছর মেলায় বাংলাদেশ থেকে ৫৩টি সংস্থা স্টল খুলেছিল৷ কিন্তু এবছর বাংলাদেশের সংস্থার স্টলের সংখ্যা মাত্র ১৭টি৷ এবিষয়ে শ্রীজেনার বক্তব্য বাংলাদেশের এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো মেলায় অংশগ্রহণ করার সমস্ত বিষয়গুলি দেখত৷ কিন্তু এবছর তারা এবিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি৷ ফলে, বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স’র উদ্যোগে ১৭টি বাণিজ্যিক সংস্থাকে এই মেলায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে৷ এদিকে, বর্হিরাজ্য থেকেও অংশগ্রহণের হার কমেছে এবার৷ গত বছর বর্হিরাজ্য থেকে এসে মোট ৩০টি স্টল খুলেছিল৷ সে জায়গায় এবছর বর্হিরাজ্যের স্টলের সংখ্যা ২৪টি৷ এনিয়ে শ্রীজেনা জানিয়েছেন, বর্হিরাজ্যের সমস্ত দিক আয়োজন করে থাকেন নেডফি৷ তারাই এবার বর্হিরাজ্য থেকে অংশগ্রহণকারী গত বছরের তুলনায় বেশি জোগাড় করতে পারেনি৷ তবে তিনি দাবি করেন, সরকারি এবং সরকার অধীনস্থ ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণে কোন ঘাটতি নেই৷ এজন্যই তার মতে, গত বছরের তুলনায় বিকিকিনি খুব একটা কমবে না, বরং বাড়বে৷