নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জানুয়ারি৷৷ এক প্রকার বাধ্য হয়েই স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ৫০ঃ৫০ অনুপাতে ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হয়েছে রাজ্য সরকার৷ সূত্রের খবর, এই অনুপাতে রাজ্য সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্প রূপায়ণে সম্মতি বার্তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে৷ সে মোতাবেক ইতিমধ্যে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
স্মার্ট সিটি প্রকল্পে আগরতলা শহর নির্বাচিত হলেও শর্ত ছিল ৫০ঃ৫০ অনুপাতে ব্যয়ভার বহন করতে হবে৷ এনিয়ে রাজ্য সরকার ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছিল ৯০ঃ১০ অনুপাতে ব্যয়ভার বহন করার বিষয়ে৷ কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যের এই দাবি কোন মতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়৷ বিশেষ ক্যাটাগরির রাজ্য হিসেবেই ত্রিপুরা সরকার দাবি জানায়, ৯০ঃ১০ অনুপাতে স্মার্ট সিটি প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ করা হোক৷ এনিয়ে রাজ্য সরকার দিল্লিতে দাবি পূরণে বহু দরবার করেছে৷ সূত্রের খবর, স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ত্রিপুরা বাদে দেশের অন্য যে সমস্ত রাজ্য নির্বাচিত হয়েছে তারা ইতিমধ্যেই ৫০ঃ৫০ অনুপাতে স্মার্ট সিটি প্রকল্প রূপায়ণে রাজি বলে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে৷ ফলে, রাজ্য সরকার ভেবে দেখল ৫০ঃ৫০ অনুপাতে ব্যয়ভার বহন না করলে স্মার্ট সিটি প্রকল্প হাতছাড়া হয়ে যাবে৷ তাতে, রাজ্যবাসীর কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে৷ অবশেষে উপায় না দেখে কেন্দ্রের প্রস্তাবেই ব্যয়ভার বহনে সম্মতি জানায় রাজ্য সরকার৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পে রাজ্যকে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও যতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হবে না ততদিন এই প্রকল্পে কাজ শুরু হবে না৷ কারণ, রাজ্য সরকার ৬০ কোটি টাকা জমা দিলেই মোট ১২০ কোটি টাকা নিয়ে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে৷
সূত্রের দাবি, নগরোন্নয়ন দপ্তর ইতিমধ্যে স্মার্ট সিটি কোম্পানি গঠন করেছে৷ তার নাম দেওয়া হয়েছে আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেড৷ এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব যশপাল সিংকে৷ তাছাড়া সিইও পদে রয়েছেন সিনিয়র টিসিএস অফিসার নৃপেন্দ্র শর্মা৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করে সে কাগজ কেন্দ্রের কাছে জমা দিলে তারপর রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছাবে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ের টাকা৷
মূলত, মোট ১৩টি বিষয় নিয়ে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে কাজ হবে৷ তাতে রয়েছে রাস্তা, বিদ্যুৎ, ড্রেইন ও পানীয় জল৷
2017-01-13