BRAKING NEWS

দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির বন্ধে বিপর্যন্ত ধলাই জেলার জনজীবন

আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর (হিঃসঃ)৷৷ দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ধলাই জেলায় বনধ পালন করছে চলছে ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি)৷ গত সোমবার ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার অন্তর্গত গন্ডাছড়া মন্ডলের জনজাতি মোর্চার সভাপতি চান মোহন ত্রিপুরাকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়৷ শাসক দলের মদতেই তাদের গ্রাম কমিটির সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে বুধবার জেলায় ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি৷ এদিনের বনধে বিপর্যন্ত জেলার স্বাভাবিক জনজীবন৷ এদিকে, এদিন চান মোহন ত্রিপুরার নির্বাচিত রাইমা গ্রাম সফল করেন বিজেপির এক প্রতিনিধি দল৷ এলাকা সফর শেষে প্রদেশ কার্যালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের জানান, পরিকল্পিতভাবে সাত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হাতে নিহত হন চান মোহন ত্রিপুরার৷
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে বনদ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত৷ হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা পিকের্টিং করেন৷ বনধের জেরে রাস্তায় যানবাহন ছিল কম৷ জেলার বেশিরভাগ এলাকায় হার্ট বাজারও বন্ধ ছিল এদিন৷ সুকলসহ বিভিন্ন অফিস খোলা হলেও সুকলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি৷ অফিসেও কর্মীদের উপস্থিতি কম৷ তবে বনধের বিরোধিতা করেছে শাসক সিপিআই(এম) দল৷ যদিও বনধকে ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি৷ বনধে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল৷
এদিকে, এদিন চান মোহন ত্রিপুরার নির্বাচিত রাইমা গ্রাম সফর করেন বিজেপির এক প্রতিনিধি দল৷ এলাকা সফর শেষে প্রদেশ কার্যালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের জানান, পকিল্পতিভাবে সাত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হাতে নিহত হন চান মোহন ত্রিপুরার৷ তিনি ছিলেন বিজেপির যুব জনজাতি মোর্চার নেতা৷
দলীয় কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দলীয় নেত্রী কল্যাণী রায় অভিযোগ করেন, প্রয়াত চান মোহন ত্রিপুরা গ্রাম কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের থেকে হুমকির শিকার হযে আসছিলেন৷ তাঁর অভিযোগ, সিপিএমের বিশ্বনাথ ত্রিপুরা নেতৃত্বে ৭ জন ক্যাডার চান মোহন ত্রিপুরাকে হত্যা করে আমরা স্বাধীন তদন্ত ও হত্যাকারী দের হেফাজতে রেখে বিচার চাই৷ আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি তিনি বলেন৷
তিনি আরও জানান, চান মোহন ত্রিপুরার ভাই আনন্দ মোহন ত্রিপুরা তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার হত্যার দায়ে ৭ জন সিপিআইএম কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন৷ আনন্দ মোহন ভাইকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন, সেখানে আসামি বিশ্বনাথ ত্রিপুরা, আনন্দ মোহনকে বিজেপি না করার জন্য সতর্ক করে বিজেপি না ছাড়লে তার অবস্থা একই হবে বলে হুমকি দেয়৷
অন্যদিকে স্থানীয় পুলিশের দাবি বিশ্বনাথ ত্রিপুরা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন৷ যদিও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *