BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় গতিবিধি নেই ইডি’র, দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের রোজভ্যালীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, বাজার দর ১২৫৬ কোটি

edবিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা / কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর৷৷ ত্রিপুরাতে কোন ধরনের গতিবিধি না থাকলেও, দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের রোজভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ বাজার দর ১২৫৬ কোটি টাকা৷ ত্রিপুরাতেও রোজভ্যালীর বহু সম্পত্তি রয়েছে৷ তবে, এদিকে এখনও নজর পড়েনি ইডি’র৷ মূলত, আর্থিক তছরূপ মামলায় রোজভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে সংস্থার কয়েকটি হোটেল, একটি রোলস রয়েস সহ আটটি দামি গাড়ি ও প্রচুর জমি৷ ইডি সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা, গোয়া, রাঁচি, ছত্তিশগড়, শিলচর, জয়পুর, মুম্বাই, পোর্টব্লেয়ার ও হরিদ্বারে রোজভ্যালির গোষ্ঠীর যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ ইডি’র তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, কাগজে কলমে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির দর ৪৬৫ কোটি হলেও তার বর্তমান বাজার দর ১২৫৬ কোটি৷ জানা গেছে, কলকাতায় দুটি হোটেল ছাড়াও জয়পুর, পোর্টব্লেয়ার, পানাজি, হরিদ্বার, রাঁচি এবং শিলচরে একটি করে হোটেল রয়েছে রোজভ্যালির৷ এছাড়া মুম্বাইয়ের ওয়ারলিতে রোজভ্যালির এপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটে ১৪৬ কাঠা জমি এবং মেদিনীপুরে ৫ হাজার ৫০০ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ এরই সাথে ৫ কোটি মূল্যের একটি রোলস রয়েস সহ প্রায় ১২টি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রোজভ্যালির চেয়ারম্যান গৌতম কুন্ডু সহ গোষ্ঠীর বিভিন্ন কর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ গত বছরই গৌতমকে গ্রেপ্তার করে ইডি৷ বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেপাজতে রয়েছেন৷
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এই প্রথম করেনি ইডি৷ এর আগেও এই মামলায় আরো চারটি বাজেয়াপ্তের নোটিশ জারি করে ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের আদালতে পৃথক চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, রোজভ্যালি গ্রুপের ২৬৩১টি ব্যাঙ্ক একাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ যেখানে প্রায় ২৯৫ কোটি টাকা ছিল বলে সূত্রের খবর৷ ইডি’র আগে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল সেবি ও সিবিআই৷ তারা ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলাও দাখিল করেছিল৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, বেআইনী আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য প্রায় ২৭টি কোম্পানি খুলেছিল রোজভ্যালি৷ ত্রিপুরাতেও এই সংস্থার বিস্তার হয়েছিল৷ রাজ্যে বহু সম্পত্তি রয়েছে রোজভ্যালির৷ কিন্তু, কি কারণে এখনো ইডি ত্রিপুরার দিকে নজর দেয়নি সে প্রশ্ণ এখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে শিলচর পর্যন্ত থাবা বসিয়েছে ইডি৷ কিন্তু আসাম সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে ত্রিপুরায় এখনো রোজভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আসেনি ইডি৷ জেলা ও মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে যে মামলা বর্হিরাজ্যে চলছে তার নিরিখে রাজ্যে এই সংস্থার যে সম্পত্তি রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করার এক্তিয়ার ইডি’র রয়েছে৷ ত্রিপুরাতেও রোজভ্যালি বহু আমানতকারীর অর্থ আত্মসাৎ করেছে৷ ফলে, এখন দেখার বিষয় রাজ্যে যে সমস্ত সম্পত্তি রোজভ্যালির রয়েছে সেদিকে ইডি’র নজর কবে নাগাদ পড়ে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *