গাঁজা বিরোধী অভিযান আচমকা বন্ধ হওয়ায় বিশালগড়ের জনমনে উদ্বেগ

2নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৮ নভেম্বর৷৷ হঠাৎ করে গাঁজা বাগান ধবংস করার অভিযান বন্ধ করে দেওয়ায় বিশালগড় প্রশাসনের দিকে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের একাংশ রহস্যের গন্ধ খঁুজে পাচ্ছে বলে অভিযোগ৷ একদিকে গাঁজা চাষ কারীরা হুমকি দেয় ভোট বয়কটের৷ তারই ফলে  হয়ত প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে৷ বিশালগড় মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় যেমন লালসিংমুুড়া ও সুতারমুড়া, অক্ষয়মুড়া, পুরাতন ওএনজিসি টিলা এবং পাগলি পিসার টিলা ভূমিতে অন্তত ২০ হাজার হেক্টর জমিতে গাঁজা গাছের চারাগাছ রোপণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে৷ এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানায় বিভিন্ন সভায় মানিকবাবু কৃষকদের আত্মহত্যার কাহিনী উন্মোচন করেন৷ কেন চাষীরা ধানচাষ থেকে শুরু করে অন্যান্য চাষবাস বন্ধ করছে? কারণ একটাই গাঁজা চাষ করে কয়েক মাসের মধ্যে টাকা কামানো যায়৷ ফলে বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা এখন গাঁজা চাষে উদ্ভুত হয়েছেন৷ বিভিন্ন এলাকায় এখন গাঁজা বাগান পেঁকেও গেছে৷ একদিকে চাষীদের হুমকি অন্য দিকে উপনির্বাচন হয়ত এরই  ফলে প্রশাসন কুম্ভনিদ্রায় রয়েছে৷ গাঁজার গন্ধে স্থানীয় একাংশ ছাত্র যুবক অতিষ্ঠ হয়ে গেছে৷ গত মাসে বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুধুমাত্র ১ বার হানা দেওয়া হয়েছিল৷ ধবংস করা হয়েছিল ১ কোটি টাকার গাঁজা গাছ৷ এরপর থেকে এখন পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে বসে গেছে৷ তাছাড়া কিছু সংখ্যক মানুষের অভিযোগ এলাকায় দুই মাতববরের কল্যাণে গাঁজা পাচারকারী প্রত্যেক গাঁজা চাষী থেকে গাছ পিছু ১৫ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা তুলছে৷ এদিকে কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত রাধানগর হরিহরদোলা, সীতাখলা, মধুপুর, মিয়া পাড়া, খামারহাডি ও কোনাবন এলাকায় ৭০ শতাংশ জায়গাতে গাঁজা চাষ করা হয়েছে৷ বহু মানুষের অভিযোগ সত্ত্বেও একবার দায়সারা অভিযান করে পুনরায় কুম্ভ নিদ্রায় শায়িত প্রশাসন৷ গাঁজা চাষকারী ও দালাল চক্র নাকি এক সপ্তাহের মধ্যে রফায় টাকা তোলা শেষ হয়ে গেলে পুরো টাকা কমলাসাগর এলাকায় সীতাখলা সহ আরো বেশ কিছু জায়গার দালালরা প্রশাসনের মুখ বন্ধ করে দেবে বলে জানা গেছে৷ তাছাড়া বিশালগড়ের ডি সি এম উত্তম দাস বৈষ্ণব জানান কর্মী স্বল্পতার ফলে গাঁজা অভিযান চালানো যাচ্ছে না৷ এও জানান গাঁজা বিরোধী অভিযান সংগঠিত করা হবে শীঘ্রই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *