BRAKING NEWS

চয়নিকা হত্যা মামলায় তিন অভিযুক্তেরজেল হাজত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ অক্টোবর৷৷ চয়নিকা হত্যা মামলায় তিনজনকে আদালত রবিবার চৌদ্দদিনের জেল হাজতে পাঠিয়েছে৷ তারা হল অর্চনা মালাকার, ঋষিকেশ দেব এবং সত্যবাণ দেব৷ শুক্রবার এই তিনজনকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ রবিবার রিমান্ড শেষে পুলিশ তাদের আদালতো সোপর্দ করেছিল৷ অন্যদিকে, এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত তথা নিহত চয়নিকা বণিকের স্বামী রণবীর সাহা বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন৷ তাকে ৫ অক্টোবর পুনরায় আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর আগে চয়নিকা বণিক নামে এক তরুণী গৃহবধূকে তার ভন্ড স্বামী টিএসআরের ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ান রণবীর সাহা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল৷ ভালবেসে রণবীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল চয়নিকার৷ রণবীরের পরিবারের লোকজনরা তা ভাল চোখে দেখেননি৷ বিয়ের দুদিন পরই চয়নিকা বণিককে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ টিএসআর জওয়ান রণবীর সাহা ইতিমধ্যেই পানিসাগরে অর্চনা মালাকার নামে এক যুবতীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে৷ এমনকি স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অর্চনাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে সহবাস করেছে রণবীর৷ তারপর থেকেই প্রথা স্ত্রী চয়নিকা বণিককে হত্যার ব্লুপ্রিন্ট শুরু হয়৷ দ্বিতীয় স্ত্রী ও অন্যান্য কয়েকজনের পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রথম স্ত্রী চয়নিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কৌশল নেয় রণবীর৷ আগরতলায় পড়াশুনা করছিল চয়নিকা৷ এখান থেকে তাকে রণবীর তার নিজ বাড়ি উত্তর কুমারঘাট নিয়ে যায়৷ বাড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করে সেফটি ট্যাঙ্কে স্ত্রীর মৃতদেহ ফেলে দিয়েছিল৷ তারপরই আগরতলায় মহিলা থানায় রণবীর অভিযোগ করে তার স্ত্রীকে অপহরণ কিংবা গুম করেছে৷ ঘটনার তদন্তের ভার অর্পিত সিআইডির হাতে৷ সিআইডি প্রথম থেকেই রণবীরকে সন্দেহ করে আসছিল৷ শেষ পর্যন্ত তদন্তের জাল গুটিয়ে এনে রণবীরের বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকেই চয়নিকার কঙ্কার উদ্ধার করা হয়৷ এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলেই প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে৷ সেই সূত্র ধরেই পুলিশ চয়নিকার স্বামী রণবীর এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী অর্চনা মালাকার ও হত্যাকান্ডের সহযোগী ঋষিকেশ দেব ও সত্যবান দেবকে গ্রেপ্তার করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *