আঠারমুড়ায় গভীর রাতে গাড়িতে দুসৃকতি হামলায় গুরুতর জখম দু’জন

attackনিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৮ আগষ্ট৷৷ আবারও আঠারমুড়া পাহাড়ে মধ্যরাতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভাঙচুর, লুটপাটের চেষ্টা চালায় দুসৃকতিরা৷ চালক ও তার সাথীকে মরাধরের ঘটনা যান চালকদের মধ্যে আতেঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন ৩৪ মাইল এলাকায়৷
সংবাদে প্রকাশ, ১৮মুড়ায় একদল দুসৃকতির কবলে পড়ল ধলাই জেলার জেলা শাসকের কার্য্যালয়ের একটি গাড়ি৷ আহত হয় দুজন৷ জানা জায় গত শনিবার ধলাই জেলার জেলা শাসকের কার্য্যালয় থেকে কাজের উদ্দেশ্যে আগরতলায় আসে টিআর-০৫-বি-০৫৩৬ নম্বরের বোলেরো গাড়িটি নিয়ে আসা হয়৷ গাড়ির চালক বিশ্বজিৎ দেবনাথ (২৩), বাড়ি কচুছড়ায় ও তার সাথি গৌতম দেব (২১) বাড়ি জওহরনগরে৷ তারা দুজনই জেলা শাসকের অফিসের গাড়ি চালক৷ তাদের দুজনের খামখেয়ালীপনায় আগরতলা থেকে আমবাসা ফিরতে দেরী হয়ে যায়৷ নয়তো বা কোন অফিস কর্তার আদেশ মান্য করতেই সরকারী গাড়িটি দুসৃকতিদের কবলে পড়ে৷ শনিবার রাত আনুমানিক একটা নাগাদ প্রথমে দশ-বারো জনের একটি দুসৃকতি দল মুখে কালো কাপড় বাধানো অবস্থায় গাড়িটিকে গাছের বড় ডাল রাস্তায় ফেলে থামায়৷ গাড়িটি নিয়ে চালক পালাতে চাইতে গাড়ির হেডলাইট ভেঙ্গে দেয় দুসৃকতিরা৷ আক্রমণ চালায় টাক্কাল ও লাঠি দিয়ে৷ গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে৷ গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়৷ গাড়িটি রাস্তার পাশে খাদে পরে যায়৷ আহত হয় বিশ্বজিৎ ও তার সাথী গৌতম৷ কিন্তু কোন কিছু লট না করে গা ঢাকা দেয় এই দুসৃকতি দলটি৷
মধ্যরাতে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ টরল দিতে গেলে তাদের গাড়ির সামনে দেখতে পায়৷ উদ্ধার করে নিয়ে যায় মুঙ্গিয়াকামী থানায়৷ এনিয়ে বড় ধরনের রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশ৷ আসলেই কি কোন দুস্কতি দল হামলা চালিয়েছে গাড়িতে, নাকি বিশ্বজিতরা নাটক রচনা করছে৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে খোয়াই থেকে ছুটে আসেন জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত চক্রবর্তী৷ এসডিপিও তেলিয়ামুড়া ভারপ্রাপ্ত শ্যামানন্দ শর্মা, তেলিয়ামুড়া থানার ওসি সিদ্ধার্থ শংকর কর সহ ধলাই জেলার জেলা শাসকের কার্য্যালয়ের কর্মীরা৷ সারদিন ব্যাপী চলে তদন্ত৷ খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন ক্লু বের করতে পারেনি৷ তবে কিছুদিন পর পর আঠারমুড়া পাহাড়ে দুসৃকতিদের হামালর ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন যান চালকরা৷