BRAKING NEWS

জনগণের স্বার্থ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই বিরোধীদের, বামফ্রন্টকে হঠানোই তাদের মূল লক্ষ্য ঃ বিজন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই৷৷ নানা উদ্ভুত সমস্যার মাঝে ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সারা রাজ্যে তিন দফা

সাংবাদিক সম্মেলন বিজন ধর৷ ছবি নিজস্ব৷
সাংবাদিক সম্মেলন বিজন ধর৷ ছবি নিজস্ব৷

দাবির ভিত্তিতে প্রচারাভিযান কর্মসূচী সম্পন্ন করল সিপিআইএম রাজ্য কমিটি৷ উদ্ভুত সমস্যা বলতে দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর স্পষ্ট বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, আইপিএফটি এবং আইএনপিটি নানাভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেও এই কর্মসূচীকে সর্বাঙ্গীণভাবে সফল হতে আটকাতে পারেননি৷ মূলত, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, বেকার সমস্যার সমাধান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবিতেই সাতদিনব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচী পালন করেছে সিপিএম রাজ্য কমিটি৷ দলের রাজ্য সম্পাদক বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সুরে বলেন, রাজ্যের ঐ সমস্ত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই৷ কেবল শাসক দলের হাত থেকে এই রাজ্যকে মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য৷
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজনবাবু বলেন, দলত্যাগের নাম করে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ঐ কর্মসূচী চলাকালীন সময়ে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ্ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে৷ সিপিএম থেকে মানুষ দলত্যাগ করছে বলে সারা রাজ্যের কাছে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে৷ তা সত্ত্বেও এই প্রচারাভিযান কর্মসূচীর সফলতা আটকাতে পারেনি৷ এদিন, তিনি এক তথ্য তুলে ধরে জানান, গত সাতদিনে জেলাভিত্তিক ১১৬০টি পদযাত্রা সংগঠিত করা হয়েছে৷ তাতে ২ লক্ষ ২১ হাজার ৮৫৩ জন অংশগ্রহণ করেছে৷ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, উত্তর জেলায় ১১৭টি পদযাত্রা সংগঠিত করা হয়েছে৷ তাতে ১৮ হাজার ৪৯৭ জন অংশ নিয়েছেন৷ ঊনকোটি জেলায় ১০৮টি পদযাত্রায় ১৮ হাজার ৪৪৫ জন অংশ নিয়েছেন৷ ধলাই জেলায় ১৫১টি পদযাত্রায় ৩৩ হাজার ১৪ জন অংশগ্রহণ করেছেন৷ খোয়াই জেলায় ১৩৬টি পদযাত্রায় ৩৬ হাজার ৫৮৫ জন অংশগ্রহণ করেছেন৷ পশ্চিম জেলায় ১৮৯টি পদযাত্রায় ৩৭ হাজার ৬৯৩ জন অংশগ্রহণ করেছেন৷ সিপাহিজলা জেলায় ১৪৭টি পদযাত্রায় ২৪ হাজার ৬৭৩ জন অংশগ্রহণ করেছেন৷ গোমতী জেলায় ১৯০টি পদযাত্রায় ২৯ হাজার ৪২০ জন এবং দক্ষিণ জেলায় ১২২টি পদযাত্রায় ২৩ হাজার ৫২৬ জন অংশগ্রহণ করেছেন৷
বিজনবাবু এদিন বলেন, এই কর্মসূচী চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সিপিএমের আন্দোলনকে ভোতা করার বহু চেষ্টা করেছে৷ রাজ্যবাসীর মানসিকতা দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই তারা এই সমস্ত কাজ করেছে৷ এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন, রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা জমায়েত করছে৷ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলছে৷ কেউ রাজ্যভাগের দাবি তুলছে, আবার কেউ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে৷ কিন্তু কৃষকদের সমস্যা, এমনকি সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কষ্ট তাদের কাছে কোন গুরুত্ব রাখে না৷ বিজনবাবু ক্ষোভের সুরে বলেন, বিরোধীদের কাছে এরাজ্য থেকে বামফ্রন্টকে হটানোই মূল লক্ষ্য৷ জনগণের ইস্যু তাদের কাছে কিছুই নয়৷ তার বক্তব্য, খুব শীঘ্রই বিরোধীদের প্রতি রাজ্যবাসীর মোহ ভঙ্গ হবে৷
এদিন তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশেই গত সাতদিনে নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং বেকার সমস্যা নিয়ে প্রচারাভিযান চালিয়েছে সিপিএম৷ এরাজ্যে সিপিএম রাজ্য কমিটি ঐ সমস্যাগুলির পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এর অচলাবস্থা উত্তরণে কেন্দ্রের কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের দাবিটিও ছিল এই কর্মসূচীতে৷ এদিকে, আগামী ২ সেপ্ঢেম্বর ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে সারা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট রাজ্যেও পালিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *