নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই৷৷ সংসৃকতির পীঠস্থান রাজধানী আগরতলা শহর ক্রমশই অপসংসৃকতির যূপকাষ্টে

নিমজ্জিত হচ্ছে৷ অপসংসৃকতির হাত থেকে সংসৃকতির পীঠস্থানকে রক্ষা করার জন্য সুষ্ট সংসৃকতির আন্দোলন তেমন সতেজ হচ্ছে না৷ যুব সমাজ ক্রমশই বদনেশায় আকৃষ্ট হয়ে অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে৷ শহর আগরতলা বলতে গেলে মদ জুয়ার অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে৷ আরক্ষা প্রশাসন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না৷ এর ফলে মদ জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপের ত্রিবেণী সংগমে সমাজ ব্যবস্থা ক্রমশ কলুষিত হচ্ছে৷ তাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে৷ অদ্ভুত পরিস্থিতিতে সুষ্ট সংসৃকতির বাতাবরণ তৈরি করার পাশাপাশি বদনেশার কবল থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করাই হল অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ এই দায়িত্ব পালনে পুলিশ প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে৷ সম্প্রতি আরক্ষা প্রশাসনের মাঝারি স্তরে রদবদল ঘটেছে৷ নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসব বিষয়ে কিছুটা কঠোর মনোভাব গ্রহণ করলে বদনেশার কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার পথ প্রশস্ত করা সম্ভব৷ অবশ্য বাম যুব সংগঠন সহ বিভিন্ন সংগঠন অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস থেকে সমাজ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি এসব বিষয়ে আরক্ষা প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতি সাম্প্রতিকালে ডেপুটেশান ও স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রদান করতে শুরু করেছে৷ তাতে আরক্ষা প্রশাসন কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে৷ গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী আগরতলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় মদ ও জুয়া বিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ৷ তাতে সিন্দুতে বিন্দুমাত্র হলেও সাফল্য এসেছে৷ সোমবার আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশ এন্ডিং জুয়া এবং মদ বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০জনকে আটক করেছে৷ জুয়ারিদের কাছ থেকে ২০ হাজার ৮২০ টাকা, পাঁচটি মোবাইল ফোন জুয়া খেলার কিছু সামগ্রী উদ্ধার করেছে৷ অভয়নগর গান্ধী সুকল সংলগ্ণ এলাকা মোটরস্ট্যান্ড প্রভৃতি এলাকায় পুলিশ সোমবার অভিযান চালায়৷ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদরের এসডিপিও অশোক কুমার সিনহা৷ এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷