বিশেষ প্রতিনিধি, সাব্রুম, ৯ জুলাই৷৷ দীর্ঘ দিন ধরে লুটপাটের এক অসীম প্রতিযোগীতা চলছে সাব্রুমের সাতঁচাদ ব্লকের একশ্রেনীর ইঞ্জিনীয়ারদের মধ্যে৷ এমনিতে অডিট রিপোর্টের হিসাবের গড়মিল প্রকাশ্যে আশায় মুখ পুড়ছে ব্লক কর্তাদের৷ ঝড় উঠছে রাজ্য প্রশাসনের৷ তবুও লুঠপাটের বহর থামতেই চাইছে না৷ দপ্তরের এক শ্রেনীর ইঞ্জিনীয়ার বিভিন্ন নির্মান কাজে নিম্ন মানের কাজ করিয়ে লুটেপুটে খাছে লক্ষ লক্ষ টাকা৷ বিডিও জগন্নাথ৷ প্রতি নির্মাণ কাজের গুনগত মান পাবে না, কিংবা কোন তদন্তের ধার ধারেনা৷ বিডিওর আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে দপ্তরের করিৎ কর্মা ইঞ্জিনীয়ার অর্থ পিপাষুদের মতন অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছে৷
সাঁতচাদ ব্লকের ইঞ্জিনীয়ার বিক্রম ত্রিপুরা বিডিও সাহেবের অতি ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে অন্যান্য ইঞ্জিনীয়ারদের ব্রাত্য রেখেই কয়েক কোটি টাকার তুলে দিয়েছেন উনার হাতে৷ বর্তমানে সাঁতচাদ ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ কালাদেবা এডিসি ভিলেজের ঠিক ঢিলছুড়া দূরত্বে ৯৫ মিটারের রাস্তায় পাশে দিয়ে ড্রেনের নিম্নমানের কাজ করেছেন ইঞ্জিনীয়ার বীক্রম ত্রিপুরা৷ এই ৯৫ মিটার ড্রেনের কাজ করার জন্য বরাদ্দ হয় ৪১,১৯৮৩ টাকা৷ সূত্রের খবর বিক্রম ত্রিপুরা যেখানে কাজ করতে যায় সেখানেই পঞ্চায়েতের নেতাদেরকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে কাজ করেন৷ এতে এলাকার কোন লোক ভয়ে মুখ খুলতে চাননা৷ এই বার মুখ খুলে শিকার হলেন বিক্রম ত্রিপুরার কাজের রাজমিস্ত্রী৷ রাজমিস্ত্রী বলেন খুব নিম্নমানের চিপ্স ও কম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করে নিয়েছেন৷ এই কারনে ৬ মাসের মধ্যে বৃষ্টি হলেই ড্রেনটি ভেঙ্গে পরবে৷
2016-07-10