BRAKING NEWS

অসমে ঢুকেছে পাঁচ জেহাদি, চিন্তায় রাজ্য পুলিশ

গুয়াহাটি, ০৯ জুলাই, (হি.স.) : বাংলাদেশের পর ভারত ভূখণ্ডে অসমে নাশকতা ঘটাতে বিশ্বত্রাস সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিস ছক কষেছে বলে অসমে এক খবর চাউর হলে এমনিতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে| এরই মধ্যে কুখ্যাত এই সংগঠনের আত্মঘাতী পাঁচ কট্টর সদস্য বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে অসমে প্রবেশ করেছে বলে খবরে রাজ্য পুলিশের রাতের ঘুম উবে গেছে| পাঁচদিন আগে মেঘালয় পুলিশ অসম পুলিশকে খবর দিয়ে বলেছিল, বাংলাদেশে থেকে তাড়া খেয়ে পাঁচ আইসিস সমর্থিত জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর পাঁচ জঙ্গি মেঘালয়ের দক্ষিণপাহাড় সীমাঅ্ দিয়ে অসমে আত্মগোপন করেছে| মেঘালয়ের গোয়েদার কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে জাতীয় তদঅ্কারী সংস্থা এনআইএ বা নিয়া-কেও এ-ব্যাপারে অবগত করে অসম পুলিশ| এর পর ময়দানে নেমে পাঁচ আইসিস সন্ত্রাসবাদী অসমে প্রবেশ করেছে বলে তাদের তিনজনের ফটো-সহ পাঁচজনের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে নিয়া| তারা শহিদুল ইসলাম, জাহিরুল শেখ এবং হবিবুর রহমান| অন্য দুইজন যাদের ফটো সংগ্রহ করা যায়নি তারা সালাহউদ্দিন সালেহিন ও জহিরুল ইসলাম| বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এনআইএ বলেছে, বাংলাদেশের ঢাকার অভিজাত অঞ্চল গুলশানের একটি রেস্তোরাঁ এবং ইদের দিন কিসোরগঞ্জে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত মোস্ট ওয়াটেড কুখ্যাত এই পাঁচ জেহাদি যুবককে দেশেও খুঁজে পাঁওয়া যাচ্ছে না| তাই তাঁদেরও ধারণা, এই সন্ত্রাসবাদীরা ভারতের অসমেই আত্মগোপন করেছে|
জেহাদি বলে সদেহজনক এই যুবকরা অসমের যেকোনও জায়গায় নাশকতা সংঘটিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে| এই আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে গোটা রাজ্যকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ে ফেলা হয়েছে| কেবল তা-ই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছয় সন্ত্রাসবাদীকে এখনও ধরতে পারেনি নিয়া| ফলে আশঙ্কা ও উদবেগ আরও বাড়ছে রাজ্য পুলিশের| তবে প্রবেশকারীদের নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাঁদের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহানির্দেশক যথাক্রমে মুকেশ সহায় ও পল্লব ভট্টাচার্য| এদিকে পাঁচ সন্ত্রাসবাদী অসমে প্রবেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সকল পুলিশ সুপারকে সতর্ক দেএয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা| জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট| নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া হয়েছে বিমানবদর, কামাখ্যামন্দির চত্বর-সহ গাড়ি পার্কিং, বাজার ও ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে|
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্রে অসমেও জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) তপরতা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়া| ওই বিস্ফোরণের অন্যতম মাস্টার মাইঅ শাহানুর আলম ওরফে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে বেশ কয়েকজন জেহাদিকে সুরক্ষাবাহিনীর সহযোগিতায় আটক করেছিল এআইএ| ধৃত জেহাদিরা তাদের স্বাকারোক্তিতে জানিয়েছিল স্লিপার সেলনামের একটি জেহাদি গোষ্ঠী গড়ে জেএমবি অসমে তাদের ভিত শক্ত করতে উঠে-পড়ে লেগেছে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *