অমরপুরের চাকমা কলোনীতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া, ক্ষোভ

farmerনিজস্ব প্রতিনিধি, অমরপুর, ৬ জুলাই৷৷ সপ্তমের কান্ডারি তথা শাসক দলের নেতৃত্বরা প্রতিটি নির্বাচনের আগেই বরাবরই রাজ্যে তথাকথিত উন্নয়নের গল্প শোনালেও বাস্তব চিত্রটা কিন্তু একেবারে অন্য রকম দেখা যাচ্ছে৷ কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের চুনপুটি নেতা থেকে শুরু করে বড় মাপের নেতা বাবুরা উন্নয়ন হচ্ছে বলে মাঠেঘাটে ভাষন এর মাধ্যমে গলার শিরা ফুলিয়ে তুলছেন৷ রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো পানীয় জল, বিদ্যুৎ সহ রাস্তাঘাটের মতো নূ্যনতম চাহিদা গুলি পৌছায়নি৷ তার ফলে ওই সব গ্রামের জনজাতিরা ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন৷ তারপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবী করে আসছেন রাজ্যে স্বর্নযুগ চলছে৷ এই চিত্র গুলি দেখলে সত্যি মনে হয় আমরা স্বর্নযুগে বাস করছি? বলা হচ্ছে অমরপুর ব্লকের অধিন কুরমা পঞ্চায়েতের অর্ন্তগত চাকমা কলোনি গ্রামটির কথা৷ এই চাকমা কলোনি গ্রামটিতে আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের ছিটেফোটাও পরেনি৷ বিভিন্ন সমস্যা যেন এলাকার জন জাতিদের নিত্য সঙ্গি হয়ে আছেন৷ না? এইটা কোনো গভীর জঙ্গলে যাওয়ার রাস্তা নয়৷ এইটা হল চাকমা কলোনি যাওয়ার রাস্তা৷ সত্যি এখন এই রাস্তাটার দিকে তাকালে মনে হয় এই রাস্তাটা কোনো এক গভীর জঙ্গলে যাওয়ার রাস্তা৷ এই পারাটিতে বর্তমানে ৬ পরিবারের বসবাস৷ বহু পরিবার বঞ্চনার শিকার হতে হতে অন্যত্র চলে গেছেন একটু সুন্দর করে বাঁচার জন্য৷ বর্তমানে গ্রামটিতে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্নতম হল পানীয় জলের সমস্যা৷ শহরের লাগোয়া এলাকা গুলিতে পানীয় জলের সমস্যা নেই৷ পাড়াতে পাড়াতে পৌছে গেছে পানীয় জল৷ পাচ্ছে বিশুদ্ধ জল৷ কিন্তু ঐ এলাকাতে এখনো পৌছায়নি সাপলাই৷ ঐ এলাকা বাসীদের কথা মাথায় রেখে কয়েক বৎসর আগে কিছু টাকা খরছ করে একটি রিং কূপ তৈরি করা হলেও এখন সেইটি থেকে আর জল পান করতে পারছেন না বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে এলাকার জনজাতিরা ছরা কিংবা পুকুরের জল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন বছরের পর বছর৷ আর এই জল খেয়ে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন জলবাহিত রোগের মুখে৷ কিন্তু স্বর্ন যুগের দাবিদাররা ওই এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কোন উদ্যোগ নিতে পারছেন না এবং উদ্যোগ নেবার নূন্যতম চেষ্টাও করেন না বলে অভিযোগ৷ যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকার ফলে ওই এলাকার জনজাতিদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে৷ বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ প্রতিবারই নির্বাচনের সময় ভোট ভিক্ষায় বেরিয়ে বলে যান এবার ক্ষমতাই এলে সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন৷ কিন্তু নির্বাচনী বৈতরনি পার হয়ে গেলে ওই সব নেতা বাবুরা কোথায় যেন হারিয়ে যান এমনটাই অভিযোগ জনৈক গিরিবাসীর৷ প্রায় সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে দাবী করে থাকেন রাজ্যে এখন আর বিদ্যুৎহীন এলাকা নেই৷ কিন্তু বাস্তবে চাকমা কলোনিতে এখনো পৌছায়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ঘন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে পুরো এলাকা৷ তাই ভয় ভিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে ৬টি পরিবার৷ এখন গিরিবাসীদের মনে একটাই প্রশ্ণ জাগছে এটা কেমন স্বর্নযুগ৷ এখন দেখার বিষয় উন্নয়নমুখী সরকারের নেতা কর্মীদের কুম্ভনিদ্রা ভাঙ্গে কিনা৷