নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ২৬ জুন৷৷ শ্মশান থেকে মৃতদেহ তুলে এনে ময়নাতদন্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিলোনীয়ায়৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলোনীয়ার হারাধান মালাকার (৬৫) পরশুদিন অসুস্থতা বোধ করায় বিলোনীয়া হাসপাতালে ভর্তি হন৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান৷ তিনি অবিবাহিত হওয়ার তার কোন নিকটাত্মীয় মৃতদেহ নিয়ে যেতে আসেনি৷ পরে স্থানীয় জনগণ মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান শ্মশানে৷ এদিকে, মৃতদেহ সৎকার করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত৷ এমনি বিলোনীয়া থানার পুলিশ শ্মশানে হাজির মৃতদেহ সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ পুলিশের বক্তব্য তাদের কাছে টেলিফোনে কোন একজন বলেছেন হারাধন মালাকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদেহ ময়না তদন্ত করাতে হবে৷ এই বলে পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পুনরায় শ্মশানে পাঠানো হয়৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় হারাধনবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন৷ এদিকে, স্থানীয় জনগণ ক্ষোভের সঙ্গে পুলিশকে জানায় হারাধনবাবুর মৃত্যু অস্বাভাবিকভাবে হয়েছে বলে কোন লিখিত অভিযোগ থানায় জানানো না হওয়া সত্ব্যেও পুলিশ কিভাবে উড়ো ফোনের ভিত্তিতে শ্মশান থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে ময়না তদন্ত করল৷ পুলিশও জানিয়েছে তাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ নেই৷ তাতে স্পষ্ট যেকেউ এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে দিলে পুলিশ তদন্ত না করেই এই ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন কাজকর্ম চালাবে৷ পুলিশর এই ভূমিকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷