BRAKING NEWS

এলপিজির কালোবাজীর রুখতে প্রশাসনের অনিহা, দুর্ভোগে ভোক্তারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,২৬ জুন৷৷ রাজ্যে রান্নার গ্যাসের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷ এজেন্সিগুলিতে নিয়মিত গ্যাস মিলছে না৷ সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে কালোবাজারীর রমরমা৷ খোলা বাজারে প্রতি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা৷ কোথাও কোথাও এরও বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ণ৷ যেখানে এজেন্সিগুলিতে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাকলগ প্রায় দেড় মাসের মতো সেখানে খোলা বাজারে গ্যাসের কালোবাজারী, তাতে গ্রাহকরা হতাশ হয়ে পড়েছে৷
কিছুদিন অন্তর অন্তর এলপিজির সঙ্কট দেখা দেয় রাজ্যে৷ এজেন্সিগুলির পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না৷ অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দুই হাত তুলে বসে থাকে৷ বরাবরই খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের তরফে এই বিষয়ে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ এজেন্সিগুলি মর্জিমাফিক চলছে৷ কখনো গ্যাস মিলছে বুকিং করার পর৷ আবার কখনো মিলছে না৷ এজেন্সিগুলির তরফ থেকে একটি চর্বিত চর্বন চলছে ইদানিং, জাতীয় সড়েকে আটকা পড়ে রয়েছে গ্যাসের বুলেট কিংবা এলপিজি সিলিন্ডার বোঝাই লরি৷ তাই গ্যাস সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে৷ কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যে অন্যান্য পণ্যবোঝাই লরি প্রবেশ করছে৷ হয়তো কয়েকদিন বিলম্বিত হয়েছে জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার দরুন৷ কিন্তু মোটের উপর এখন জাতীয় সড়কের যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে৷ তারপরও গ্যাসের সঙ্কট লেগেই রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কোন ধরনের হেলদোল না থাকায় গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ অন্যদিকে মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকেও কলোবাজারীদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না৷ রাজধানী আগরতলা শহরের প্রতিটি এজেন্সি থেকে প্রতিদিন হাজারো গ্যাস সিলিন্ডার কালোবাজারীদের হাতে চলে যাচ্ছে৷ এই বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন নজরদারী নেই৷ রাজধানী আগরতলা শহরেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে মহকুমাগুলিকে কি অবস্থা হবে তা সহজেই আন্দাজ করা যাচ্ছে৷ অবিলম্বে মহকুমা প্রশাসনের তরফে কালোবাজারী রোধ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *