ভারত -বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্ত পুরো সীল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুন৷৷ ভারত বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্ত পুরো সীল করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয়

বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার সহ সিএস এবং ডিজিপির সাথে বৈঠক করেন বর্ডার মেনেজম্যান্টের সচিব সুশীল কুমার৷ শুক্রবার মহাকরণে তোলা নিজস্ব ছবি৷
বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার সহ সিএস এবং ডিজিপির সাথে বৈঠক করেন বর্ডার মেনেজম্যান্টের সচিব সুশীল কুমার৷ শুক্রবার মহাকরণে তোলা নিজস্ব ছবি৷

সরকার৷ যেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হবে না, সেসব জায়গায় অন্যকোন পদ্ধতি অবলম্বন করে সীমান্ত পুরো সীল করে দেওয়া হবে বলে জানান বর্ডার মেনেজম্যান্টের সচিব সুশীল কুমার৷ এনিয়ে শুক্রবার মহাকরণে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার এবং বিএসএফের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি৷ এই বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্ত নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং আগামীদিনের কার্য্যসূচীর রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে শ্রীকুমার জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্ত পুরো সীল করে দেওয়া হবে৷ সেই মোতাবেক একটি একশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে৷ এর বিভিন্ন দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ বহু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হলেও এখনও বেশ কিছু এলাকায় সীমান্ত উন্মুক্ত৷ অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যেখানে মূল লক্ষ্য সেই বিষয়ে যে সমস্ত জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি সেখানে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে সীমান্ত সীল করা হবে৷
এদিন তিনি জানান, ভৌগোলিক কারণে ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কিছু স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ কিছু কিছু স্থানে সীমান্ত এলাকার জনগণ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করছেন৷ এই বিষয়ে জেলা শাসকদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্ত এলাকার জনগণের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে আশ্বস্থ করার জন্য৷
ভারত-বাংলাদেশ ত্রিপুরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রশ্ণে শ্রীকুমার জানান, এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে৷ তাদের সম্মতি ছাড়া একাজ সম্ভব নয়৷ এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সাথে যেসব আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে সেগুলি খুব শীঘ্রই পুরোপুরি সীল করে দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে আসামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি সীল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আগামী দুই বছরের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *