নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুন৷৷ রাজ্যে কংগ্রেসের দুর্দিনের একের পর এক করুণ দৃশ্য প্রকাশ্যে আসছে৷ আগরতলা, কৈলাসহর, বিলোনীয়া থেকে গাড়ি বোঝাই করে আন্দোলনকে সফল করতে হচ্ছে পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহাকে৷ হাতেগুনা সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার উদয়পুরে গোমতী জেলার এতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিতে হয়েছে শ্রীসিনহাকে৷ কংগ্রেসের এই করুণ অবস্থায় দলের প্রবীন কর্মী সমর্থকরা রীতিমতো বিচলিত৷
এদিন উদয়পুরে গোমতী জেলার জেলা শাসকের কাছে চিটফান্ডের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার যাতে চিটফান্ডগুলির স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করার উদ্যোগ নেয় সেই দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ এটি প্রদেশ কংগ্রেসের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী৷ এদিন, উদয়পুর কংগ্রেস ভবনের সামনে থেকে বীরজিৎ সিনহার নেতৃত্বে একটি মিছিল যায় গোমতী জেলার জেলা শাসকের অফিসের সামনে৷ সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল৷ এই মিছিলে হাতেগুনা একশ কর্মী সমর্থক সামিল হয়েছিলেন৷ এরই মধ্যে সিংহভাগ আগরতলা, কৈলাসহর এবং বিলোনীয়ার৷ মিছিলটি জেলা শাসকের অফিসের সামনে যায়৷ সেখান থেকে ৯ সদস্যক এক প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা শাসক পি এল চাকমার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং দাবী সনদ তুলে দিয়েছে৷ কংগ্রেসের এই আন্দোলন কর্মসূচীতে দাবী রাখা হয়েছে, চিটফান্ডগুলি রাজ্যের ১৪ লক্ষ আমানতকারীর প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে৷ এই আমানতকারীদের কষ্টার্জিত জমানো টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে চিটফান্ড সংস্থাগুলির স্থাবর সম্পতি বিক্রি করার উদ্যোগ নিতে হবে৷ প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলা শাসকের অফিসে এই দাবীতে পর্য্যায়ক্রমে ডেপুটেশন এবং স্মারক দেওয়া হচ্ছে৷ এর আগে ধর্মনগর এবং কৈলাসহরে অনুরূপ আন্দোলন কর্মসূচি রূপায়ন করা হয়েছে৷
এদিকে, সম্প্রতি রমেশ চৌমুহনীর কংগ্রেস ভবন দখল নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের সাথে কংগ্রেসের কর্মীদের যে বিরোধ হয়েছিল সেই বিরোধ তাৎপর্যপূর্ণভাবে মিটে গিয়েছে৷ এদিন বীরজিৎ সিনহার হাতে রমেশ চৌমুহনীস্থিত কংগ্রেস ভবনের চাবি তুলে দিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা৷ জানা গিয়েছে, ভবন দখল নিয়ে বিবাদের পর বিষয়টি মহকুমা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে৷ মহকুমা শাসকের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে৷ তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস ভবনের চাবি বীরজিৎ সিনহার হাতে তুলে দিয়েছে৷ চাবি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গত ক’দিন ধরে চলা দুই দলের চাপা ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে৷