নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন৷৷ আইপিএফটি নেতা কর্মীদের রাজ্যের উগ্রপন্থীদের সঙ্গে এক আসনে বসিয়েছে সিপিএম৷ রবিবার সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন ‘প্রায় উগ্রপন্থীরা যেভাবে কাজ করেছে, সেভাবেই তারা কাজ করছে৷ তারা জঙ্গলে নাই, দৃষ্টিভঙ্গীটা তাই৷’ বিজনবাবু আইপিএফটি দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি হিসাবে অভিহিত করেছেন৷ তারা বিভাজনের রাজনীতি করে পৃথক রাজ্যের দাবী তুলে হিংসার রাজনীতিতে মদক দিয়ে চলেছে৷
সাংবাদি সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জানান, আইপিএফটি পৃথক রাজ্যের দাবী তুলে আগামী ২২ জুন রাজ্যে রাস্তা অবরোধ
আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷ জাতীয় সড়কের পাশাপাশি ঐ দলটি রেল লাইন অবরোধ করার ঘোষণাও দিয়েছে৷ আইপিএফটির এই আন্দোলনকে সিপিএম রাজ্যের উন্নয়ন বিরোধী আন্দোলন বলে মনে করছে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এইসব বিষয় অতীতে উগ্রপন্থীদের সময়কালে দেখা গিয়েছে৷ সেই সময় উন্নয়ন বিরোধী কার্যকলাপ চালাত উগ্রপন্থীরা৷ সুকল করা হলে উগ্রপন্থীরা তা বন্ধ করে দিত৷ রাস্তা ডাবল লেন করা হলে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিত৷ যানবাহনে হামলা হুজ্জুতি চালিয়ে হত্যাকান্ড সংগঠিত করত৷ উন্নয়নমূলক কাজের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থীরা কাজ করত৷ এখন আইপিএফটি প্রায় একই কাজ করছে যেভাবে উগ্রপন্থীরা করেছে৷ তারা জঙ্গলে নেই৷ তবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীটা একই বলে বিজনবাবু মন্তব্য করেছেন৷
আইপিএফটি’র পৃথক রাজ্যের দাবিকে কোনভাবেই মেনে নেবেনা সিপিএম৷ বিচ্ছিন্নতাবাদকে এরাজ্যের মানুষ প্রশ্রয় দেবেনা বলে দাবি করেন বিজনবাবু৷ তিনি জানান, আগামী ২২ জুন জাতীয় সড়ক ও রেল লাইন অবরোধ করা মানেই হল রাজ্যের মানুষকে এক অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে দেওয়া৷ এমনিতেই বর্ষার মরশুমে জাতীয় সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে৷ আসামের লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার দরুন যান চালাতল বিঘ্নিত হচ্ছে৷ নিয়মিত পণ্য সামগ্রী এখানে আসছে না৷ তার ওপর যদি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় তাহলে এরাজ্যের মানুষের নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে৷ এই ধরনের আন্দোলন যত গণতান্ত্রিক পথেই হোক না কেন তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না৷ বিজন ধর আরও বলেন, আই পি এফ টি ছাড়া অন্য যেসব রাজনৈতিক দল এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিচ্ছে বা দেবে তাদের বিরুদ্ধে সিপিএম রাজ্যের মানুষকে সচেতন করার জন্য আরও গণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷