কাজিরঙা (অসম), ১২ জুন, (হি.স.) : কাজিরঙায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংঘটিত গন্ডার হত্যা সম্পর্কীয় তথ্য প্রথমে গোপন এবং পরে স্বীকার করতে বাধ্য হওয়ার অপরাধে দুয়েকজন বন কর্তার ওপর শাস্তির খাড়া আসতে পারে। এই তথ্য জানিয়েছেন নবনির্বাচিত খোদ বনমন্ত্রী প্রমিলারানি ব্রহ্ম। বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে গত ৭ জুন কাজিরঙায় মন্ত্রীর অবস্থানকালে এখানকার অগরাতলি বনাঞ্চলে একটি মহিলা গন্ডার নিধন করে তার খড়গ কেটে নিয়ে পালিয়েছিল চোরাশিকারিরা। সংবাদ মাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হলে এবং বিষয়টি তাঁর কানে গেলে গোটা ঘটনার তথ্য গোপন করে একে উড়ো সংবাদ বলে নস্যাৎ করে মন্ত্রীকে বিপথে পরিচালিত করেছিলেন জনা দুয়েক বন আধিকারিক। পরে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ হলে গোটা রাজ্যের কাছে লজ্জানত হতে হয় প্রমিলারানিকে। কেবল তা-ই নয়, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে তিনি রওয়ানা হলে মন্ত্রীকে পথভ্রষ্ট করে কৌশলে অন্য জায়গা ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এতে চূড়ান্ত অপমান বোধ করেন মন্ত্রী ব্রহ্ম।
পরবর্তীতে ওই বন এই আধিকারিকদের হেয়ালিপনা, কর্তব্যে গফিলতির ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী প্রমিলারানি। ওই তদন্তের ওপর ভিত্তি করেই আগামীকাল সোমবার কাজিরঙায় বনবিভাগের অধিকর্তা এম আলি, আগরাতলির ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর। বনমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে নিয়োজিত বন বিভাগের একশো শতাংশ আধিকারিক-কর্মচারী কর্তব্যে গাফিলতি করেন। এমতাবস্থায় তাঁরা নিজেদের সংশোধিত না-করলে ‘কী করে কাজ করব’ বলে অসহায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। তাই বনকর্মীদের মধ্যে কর্ম সংস্কার ফিরিয়ে আনতে গেলে কঠোর অবস্থান নিতে হবে সরকারকে, বলেন মন্ত্রী প্রমিলারানি ব্রহ্ম।