BRAKING NEWS

ফেনী ব্রিজ নির্মাণে সময় লাগবে আড়াই বছর, লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়কের রাহুর দশা কাটতে পারে আগামী মার্চে

NH 44নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ রাহুর দশা কাটতে চলেছে লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়কের৷ অবশেষে লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়কের বেহাল দশা আগামী ২০১৭ মার্চের মধ্যে কাটতে পারে বলে আশ্বাস মিলেছে আসামের তরফে৷ সম্প্রতি পূর্ত দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত ভৌমিক লোয়ারপোয়া জাতীয় সড়কের অবস্থা খতিয়ে দেখতে গেলে সেখানে নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে এই আশার বাণী শুনে এসেছেন৷ শুক্রবার মহাকরণে পূর্ত দপ্তরের জাতীয় সড়কের মুখ্যবাস্তুকার দীপক দাস জানিয়েছেন, আসামের তরফে আগামী ২০১৭ মার্চের মধ্যে লোয়ারপোয়ায় সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা মিলেছে৷
তিনি জানান, পূর্ত দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দু/তিনদিন আগে লোয়ারপোয়ায় ত্রিপুরার অংশ এবং আসামের অংশের সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান৷ সেখানে ত্রিপুরার অংশ পরিদর্শন করার পর আসামের অংশে গেলে সেই রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের মুখ্যবাস্তুকার, জেলাশাসক এবং এবিসি কন্ট্রাক্সশন কোম্পানির আধিকারিকরা ছিলেন৷ তাদের সাথে আলোচনায় আশা মিলেছে ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে৷ সমস্যার পেছনে মূল কারণ পূর্বের যে নির্মাণকারী সংস্থা ছিল তারা ঐ অংশে মাটি ফেলার পর তাতে নতুন মাটি পড়ে সড়কটি আরো বিপর্যস্ত হয়ে যায়৷ ফলে, এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল কোন মতেই সম্ভব হচ্ছিল না৷ বর্তমানে যে সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে তাদের দাবি, এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে৷ মূলত, লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়ক দুইশ মিটার অংশ জুড়ে মারাত্মক অবস্থা হয়ে রয়েছে৷
এদিকে, ফেনী ব্রিজ নির্মাণের কাজ আগামী আড়াই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে দাবি করেন পূর্ত দপ্তরের জাতীয় সড়কের মুখ্যবাস্তুকার৷ তিনি জানান, সম্প্রতি ফেনী ব্রিজ নির্মাণের জন্য ডিপিআর সংশোধিত করা হয়েছে৷ তাতে ব্রিজ নির্মাণে ৯৩৯৪ কোটি টাকা এবং জমি অধিগ্রহণ বাবদ ২৮৩৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে৷ তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের অংশের অর্থও ভারত সরকার বহন করবে৷ মূলত, বিদেশমন্ত্রক বাংলাদেশের অংশের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে৷ এদিকে, দু-তিনদিনের মধ্যে পূর্ত দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে দিল্লি পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের অধীন সমস্ত প্রজেক্টের অর্থের যোগানের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে৷ যতদূর জানা গেছে, ফেনী ব্রিজের সংশোধিত ডিপিআর অনুমোদনের জন্যই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন৷ উল্লেখ্য, এই ফেনী ব্রিজটি নির্মাণ হয়ে গেলে চিটাগাং পোর্টের সাথে সহজে যোগাযোগ সম্ভব হবে৷ কারণ, চট্টগ্রাম পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ৭৩ কিলোমিটার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *