নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুন৷৷ বিলোনিয়া শহর থেকে মাত্র এক কিমি দূরত্বে জীরতলী এলাকায় ত্রিপুরা সরকারের পশ্চিম কলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়৷ ১৯৬০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত৷ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷ দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা রয়েছে বিদ্যালয়টিতে৷ তার উপরে প্রতিদিন শিক্ষক শিক্ষিকারা আসেন দেরি করে৷ এলাকাবাসী অভিভাবক এবং এলাকার যুবকরা মিলে আজ সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করে৷ ফলে ১১টার পরে আসা প্রধান শিক্ষক সহ সব শিক্ষকরা সুকলের বাইরে আটকে যায়৷ এলাকাবাসী এবং ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিদিন বিদ্যালয় দেরি করে আসা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি দুর্ব্যবহার করা সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন৷ সুকল চলাকালীন বিদ্যালয়ে নেশা করে ছাত্রদের আসা এবং যখন তখন ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের বাইরে চলে গেলেও শিক্ষক শিক্ষিকারা এতে উদাসীন৷ কতিপয় শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পাঠদান না করতে পারার অভিযোগ উঠে৷ ছোট ছোট কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে বলেও অভিযোগ৷ ছাত্রদের ভয় দেখানো হয়৷ শিক্ষক স্বল্পতা সহ বিষয় শিক্ষকের অভাব রয়েছে এই বিদ্যালয়ে৷ মিড ডে মিল নিয়েও অভিযোগ রয়েছে৷ বিদ্যালয়ে ঠিক মত পরীক্ষার সিলেবাস শেষ হয়নি৷ ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় পত্র দেওয়ার জন্য টাকা নিলেও বছরের ছয় মাস হয়ে গেছে তা এখনো দেওয়া হয়নি৷ পরিষেবা এবং পরিকাঠামোগত প্রচন্ড অভাব এই বিদ্যালয়ে৷ অভিভাবকরা যখন এসব বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন এবং বিদ্যায় উন্নয়ন কমিটির বিরুদ্দে এসব বিষয় নিয়ে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ণ তুলতে শুরু করেছেন ঠিক তখনই এলাকার উপপ্রধান নারায়ণ সরকার এসে হাজির৷ যখন আনাগোনায় জন্য উপপ্রধান ধমক দিতে থাকে তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী৷ তারা জানতে চায় যখন বিদ্যালয়ের এত সমস্যা তখন তারা কোথায় ছিল? বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান পশ্চিম কলাবাড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া সরকার এই বিদ্যালয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন বলে অভিযোগ অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর৷ ছুটে আসতে হয় পুলিশকেও৷ তারপর দুপুর নাগাদ নেতৃত্বরা সহ এলাকাবাসীও শিক্ষক শিক্ষিকারা মাঠে আলোচনায় বসে৷ প্রায় একটা নাগাদ আসে বিদ্যালয় পরিদর্শক৷ বসেন আলোচনায়৷ আগামী দিন বিদ্যালয় বন্ধ৷ তাই পরিস্থিতি কি তা বোঝা যাবে শনিবার৷