BRAKING NEWS

বন্যপ্রাণীদের দিনভর অভুক্ত রেখে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের গেইটে তালা দিয়ে আন্দোলনে কর্মীরা

Sipahijalaনিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৮ জুন৷৷ বন্যপ্রাণীদের দিনভর অভুক্ত রেখে দাবী আদায়ে আন্দোলনে নামলেন সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের কর্মীরা৷ শুধু তাই নয় গেইটেও তালা দিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ সংবাদে প্রকাশ, এই অভয়ারণ্যের ১০৩ জন পার্মানেন্ট লেবার ও ক্যাজুয়েল কর্ম বিভিন্ন দাবী আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতীতে গিয়েছিলেন গত ২৬ মার্চ৷ তাদের দাবী পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন৷ সেই মোতাবেক বুধবার কর্মীরা অভয়ারণ্যের প্রধান গেইটে তালা দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বসেন৷ এখানে ১৯৮২ সাল থেকে ক্যাজুয়েল কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন তারা৷ তাদের দাবী নিয়মিত করতে হবে৷ এই দাবী নিয়ে তারা এদিন আন্দোলনে বসেন৷ অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাথে তাদের এই দাবী পেশ করা হয়েছিল৷ বারবারই প্রতিশ্রুতি মিলেছে৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ সিপাহীজলা বায়ো কমপ্লেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের পামানেন্ট লেবার ও ক্যাজুয়েল কর্মচারীদের ক্যাজুয়েল ও গ্রুপ ডি পদে নিযুক্ত করতে হবে৷ এই দাবী নিয়ে এদিন তারা পথ অবরোধ আন্দোলন সংগঠিত করেছেন৷ ১৭১ টাকা দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে তারা কাজ করে চলেছেন৷ মূল্যবৃদ্ধির এই দৌঁড়ে এই টাকা দিয়ে পরিবার প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছেনা তাদের৷ তাদের এই দাবী সিপাহীজলা পিসিসিএফ অতুল কুমার গুপ্তার কাছেও জানিয়েছিলেন৷ কর্মীরা আশা করেছিলেন হয়তো তাদের দাবী পূরণ হবে৷ কিন্তু তা হয়নি৷
সিপাহীজলা বায়ো কমপ্লেক্স ইউনিয়নের সহ সম্পাদক শ্যামজু মিয়া সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত তাদের সংগঠনের ১০৩ জন সমর্থককে নিয়ে পথ অবরোধ করেন৷ কর্মীদের দাবীর প্রতি অনেকেই সহানুভূতি প্রদর্শন করে বলেছেন তাদের দাবীটি ন্যায্য৷ কর্মচারীদের তরফে বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়ার কাছেও দাবী জানানো হয়েছে৷ দীর্ঘ সময় পথ অবরোধ চলে৷ খবর পেয়ে আগরতলা থেকে পিসিসিএফ অতুল কুমার গুপ্তা এবং সিসিএফ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছেন৷ তাঁরা কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সাছে৷ প্রশাসনের এই দুই আধিকারীক আশ্বাস দিয়েছেন আগামী ত্রিশ দিনের মধ্যে তাদের দাবী পূরণ করা হবে৷ প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, এই কর্মীরাই অভয়ারণ্যের চিরিয়াখানার খাঁচায় বন্দী বন্যপ্রাণাদের খাবার দেয়, ঘর পরিস্কার করে৷ তাদের প্রতি এই বঞ্চনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *