BRAKING NEWS

যান সন্ত্রাসে ফের উদয়পুরে খতম প্রাতঃভ্রমণকারী, আগরতলায় জখম চার

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর/আগরতলা, ৫ জুন৷৷ গোমতী জেলার উদয়পুরকে এতদিন সবাই মন্দির নগরী হিসাবেই চিহ্ণিত৷ আজ তার নামও তাৎপর্য বদলাতে চলেছে৷ উদয়পুর এখন মৃত্যু নগরীতে পরিনত হয়েছে৷ গত কদিন ধরে মৃত্যু লেগেই আছে৷ এই এক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি আস্বাভাবিক মৃত্যুর স্বাক্ষি হল উদয়পুর মহকুমাবাসী৷ কোন মতেই মৃত্যুর মিছিলকে রোখা যাচ্ছে না৷ এদিকে চন্দ্রপুরের ভূইয়া পাড়ার মা মনসার হাতে মৃত্যু হল দুই মহিলার৷ রাজনগরের সাড়ে পাঁচ বছরের কনিকা ACCIDENTহত্যা, ব্রক্ষ্মা বাড়ীতে সাত সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে যান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ী অজিত মজুমদারের৷ এগুলির রেস কাটতে না কাটতেই রবিবার সকালে আরো একটি মৃত্যুর খবর শুনল মহকুমাবাসী৷ প্রতি দিনের মত রবিবারও প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন উদয়পুর মাতবাড়ী চন্দ্রসাগর এলাকার ৬৫ বছরের বয়স্ক মহিলা সত্যবালা শর্মা৷ ভোর সাড়ে পাঁচটায় সময় যখন সত্যবালা মাতাবাড়ী সিপিআই (এম) পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন একটি গাড়ি উদয়পুর থেকে দক্ষিণে যাচ্ছিল, বেপোরোয়া এবং দ্রুত গাতিতে গিয়ে সত্যবালাকে স্বজোড়ে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই সত্যবালা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন এবং অজ্ঞান হয়ে যায়৷ সঙ্গে সঙ্গে অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরকে খবর দিলে তারা এসে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যুবলে ঘোষণা করেন৷ এই খবর পেয়ে ছুটে যান সত্যবালার স্বামী জগদীশ শর্মা ও তার দুই ছেলে৷ এদিকে লাগাতর অস্বাভাবিক মৃত্যু লেগে থাকায় মহকুমা বাসী জেলা পুলিশ সুপার সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিক এবং ট্রাফিক ইউনিটকেই দায়ি করছেন৷ অস্বাভাবিক মৃত্যু রুখতে কেন পুলিশ উপযুক্ত সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করছেন না৷ মা মনসার ঘটনা ছাড়া পুলিশ বাকী একটা ঘটনারও কিনারা খোঁজে পায়নি৷ অন্ধকারেই পড়ে আছেন পুলিশ৷
ম্যাক্স এবং মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হলেন দুই শিশু সহ চার ব্যক্তি৷ আহতদের মধ্যে মারুতির চালক ও ৮ বছরের এক শিশুর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে৷ রবিবার বিকেলে লিচুবাগানস্থিত মুকুট বিপনি বিতানের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷
দ্রুতগামী ম্যাক্সের সাথে মারুতি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশু সহ চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটায় আগরতলার লিচুবাগান সংলগ্ণ মুকুট বিপনি বিতানের সামনে৷ ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর জওয়ান অসীম হাতি বরুয়া নিজ স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে রোজভ্যালি পার্ক থেকে এএস০৬এইচ-৪১৪৯ নম্বরের মারুতি চালিয়ে শালবাগানস্থিত সরকারি আবাসে ফিরছিলেন৷ লিচুবাগানস্থিত মুকুট বিপনি বিতানের সামনে আসতেই শালবাগান থেকে আগরতলাগামী টিআর০১বি-৩০৬৪ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী ম্যাক্স তীব্র বেগে মারুতি গাড়িটিকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে৷ এতে মারুতি গাড়ির চালক সেনা জওয়ান অসীম হাতি বড়ুয়া, উনার স্ত্রী ও ৮ বছরের দুই শিশু কন্যা আহত হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্যাাপিটেল কমপ্লেক্সস্থিত অগ্ণি নির্বাপক কেন্দ্রে খবর দিলে দমকলের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যান৷ প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, দুর্ঘটনা ঘটামাত্রই তিনি ফায়ার ব্রিগেডে খবর দেন এবং দমকল কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান৷ জানা গেছে, আহতদের মধ্যে মারুতি গাড়ির চালক সেনা জওয়ান অসীম হাতি বরুয়া এবং উনার ৮ বছরের শিশু কন্যার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ জানা গেছে ম্যাক্স গাড়িটি অতি দ্রুতবেগে আগরতলার দিকে আসছিল৷ বিপরীত দিকের মারুতি গাড়িটিকে দেখে ব্র্যাকও কষেছিল ম্যাক্সের চালক৷ কিন্তু দ্রুতগতি থাকায় ব্র্যাক কষায় কোন কাজ হয়নি৷ উল্টো গাড়ি ঘুরে গিয়ে ধাক্কা মারে মারুতি গাড়িটিকে দুর্ঘটনার পরই ম্যাক্স গাড়ির চালক পালিয়ে যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *