BRAKING NEWS

প্রণয়ের সূত্রে গর্ভবতী নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় কারাদন্ড প্রেমিককে

court hammerনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন৷৷ প্রণয়ের সূত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে সাত বছরের কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উত্তর জেলার ধর্মনগরের স্পেশাল জজ উদিত চৌধুরী৷ শুক্রবার মাননীয় বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন৷ সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম মহম্মদ সুরমান আলি ওরফে বাচাল (৩০)৷ তার বাড়ি কদমতলা থানার অধীন আজমির আলী৷
সংবাদে প্রকাশ, ২০১৪ সালের ২রা সেপ্ঢেম্বর সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কদমতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এই অভিযোগে বলা হয়েছে, চার পাচ মাস যাবৎ কদমতলার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহম্মদ সুরমান আলী ওরফে বাচাল এলাকার এক নাবালিকার বাড়িতে যাওয়া আসা করত৷ সেই সুবাদে তাদের ঐ নাবালিকার সাথে তার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ একসময় সুরমান ঐ নাবালিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রমাগত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে৷ তাতে ঐ নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে৷ নাবালিকাটি গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার পর সুরমান তার প্রতিশ্রুতি থেকে সড়ে যায়৷ সে নাবালিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে৷ তাতে বিপাকে পড়ে যায় ঐ নাবালিকার পরিবারের লোকজন৷ সুরমানকে চাপ দেওয়া হলেও সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে৷ সুরমান ঐ নাবিলকাকে মারধরও করে৷ তাতে নাবালিকা গুরুতর জখম হয়৷
তারপর কদমতলা থানায় একটি মামলা করা হয়৷ মামলার নম্বর ৭০/১৪৷ মামলাটি হয়েছে, ইউএস ৩৭৬/৪১৭/৩২৩/৩৪ আইপিসি এবং পিসিএসও এ্যাক্ট, ২০১২ এর ৪ নং ধারায়৷ মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কদমতলা থানার এসআই শঙ্কর দাস ২০১৫ সালের ২০ মার্চ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন৷ এই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরা ধর্মনগরের মাননীয় স্পেশাল জজ উদিত চৌধুরী অভিযুক্ত মহম্মদ সুরমান আলী ওরফে বাচালকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন৷ সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি স্বপন কুমার নাথ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *