চিটফান্ড ইস্যুতে কৈলাসহরে কংগ্রেসের ধর্ণা আন্দোলন

Kailasaharনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মে৷৷ মূলত চীটফান্ড ইসুতে জেলা শাসক কার্যালয় প্রাঙ্গঁনে প্রদেশ কংগ্রেসের ধর্না কর্মসূচী পালিত হল মঙ্গলবার৷ আগরতলা তেকে ধর্নায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা নামে ঘোষিত গোপাল রায়, ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের সভাপতি আইনজীবি পিযুষ বিশ্বাস, নারী নেত্রী বাসনা দেবনাথ, যুব নেতা বাপ্ঢু চক্রবর্তী, রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চক্রবর্তী ও গৌরনগর ব্লক অফিস প্রাঙ্গন থেকে এক মিছিল জেলা শাসক অফিস প্রাঙ্গনে থামে৷ সেখানে রাজ্য ও স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা বক্তব্য রাখেন৷ জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যক প্রতিনিধি দল জেলা শাসক প্রমথ রঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ চীটফান্ডের দ্বারা প্রতারিত নাগরিকদের টাকা ফেরতের দাবি পূরনের ইস্যু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শাসক৷
সোমবার উত্তর জেলার পর মঙ্গলবার ঊনকোটি জেলার জেলা শাসক অফিস প্রাঙ্গনে ধর্না সংগঠিত করে প্রদেশ কংগ্রেস৷ বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মন ও অনুগামীদের দলত্যাগে কিছুটা বিমর্ষ কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছে এই আন্দোলন কর্মসূচী৷ এই সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চীটফান্ডের প্রতারনায় তাদের মনেও কিছুটা আশার সংস্কার হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রোজভ্যালি চীটফান্ড কোম্পানীর পার্ক উদ্বোধন করেছিলেন৷ তিনি প্রশংসাও করেছিলেন৷ ফলে সাধারন মানুষের মনে বিশ্বাস জমেছিল রোজভ্যালিতে বিনিয়োগ করলে লাভ হবে৷ বর্তমানে যারা প্রতারিত হলেন সেজন্য পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ি করলেন যুব কংগ্রেস নেতা বাপ্ঢু চক্রবর্তী৷ গনধর্নায় কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা রোজভ্যালির না উচ্চারন করে এদেদ্দর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে আমানত কারীদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷
সাধারণ মানুষের রক্ত ঘামের জমানো টাকা নিয়ে পালিয়েছে চীটফান্ড কোম্পানী গুলো৷ এরা প্রতারণার বানিজ্য করেছে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়েই৷ অথচ কোম্পানী গুলো পালিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি সরকারি তরফে৷ প্রতারিত সাধারণ মানুষের টাকা গিলে রাখা বোয়াল হয়েছেন শাসক দলের পদলেহন কারী হওয়ার এদের বড় অংশ৷ জোন শুনেও জনপ্রিয় জনদরদী সরকার নীরব৷ আর চীটফান্ড ইস্যুতে মার্কসবাদী সর্বহারা নেতাদের দ্বিচারিতায় পথে বসেছেন হাজার হাজার পরিবার৷ এদের আশীবাদ হয়ত ভবিষ্যতে অভিশাপ হয়ে দাড়াতে পারে৷