BRAKING NEWS

জমি দান করে শর্ত মোতাবেক সরকারী চাকুরি জুটেনি, তাই মধ্য কচুছড়া অঙ্গনওয়ারীতে তালা

school lockedনিজস্ব প্রতিনিধি, সালেমা, ৩০ মে৷৷ মধ্য কচুছড়া অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রটি এখনো তালা বন্ধ অবস্থায় আছে৷ জমির মালিক আজ থেকে পাঁচ মাস আগে কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন৷ এরপর এই সমস্যার সৃষ্টি৷ কিন্তু নির্বিকার সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর৷ কেন্দ্রটি সালেমা ব্লক সিডিপিও অর্ন্তগত৷ বিপাকে পড়েছে শিক্ষা ও প্রসূতি মায়েরা৷
সংবাদে প্রকাশ, কমলপুর মহকুমার অন্তর্গত মধ্য কচুছড়া অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল ৮০এর দশকে৷ এই জায়গা দান করেছিলেন জনৈকা এলাকাবাসী মণিন্দ্র দাস৷ জায়গার পরিমাণ প্রায় দুই কানি৷ সবটাই নিজেদের জোত জমি৷ জায়গা দেওয়ার সময় মণিন্দ্র বাবুর দাবি ছিল উত্তর কচুছড়া পঞ্চায়েতের কাছে এই পরিবারের একটি চাকুরি৷ অলিখিত এই দাবি আজও পূরণ হয়নি৷ এই দীর্ঘ সময়ে পঞ্চায়েতে পালা বদল হয়েছে৷ কিন্তু কোনো পঞ্চায়েতই কথা রাখেননি৷ বহুবার মণিন্দ্র বাবুর পরিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও শাসক দলীয় নেতাদের দরজায় দরজায় মাথা উঠলে আজ পর্যন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি৷ শেষ মেশ বাধ্য হয়ে মণিন্দ্রবাবুর পরিবার এই কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়৷ তাতে করে সমস্যা আর দ্বিগুম বেড়ে যায়৷ কিন্তু কয়েক দিন পর পঞ্চায়েত তালা ভেঙ্গে ফেলে৷ মালিক পক্ষ পুনরায় তালা ঝুলায় আবার৷ এরপর পঞ্চায়েতে এক জনৈক বাসিন্দা কমলপুর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেন৷ এরপর ২০ মে মহকুমা শাসক শুভাশিস দাস রসমতি দাসকেক ডেকে অফিসে নিয়ে আসেন৷ তিনি রসমতি দাসকে তালা খুলে দিতে নির্দেশ দেন৷ কিন্তু তখন রসমতি দাস তালা খুলতে রাজি হননি৷ কিন্তু দেখা যায় সমস্যার কোনো সূত্র বের হয়নি৷ সমস্যা আজও রয়ে গেছে৷ এতে করে বিপাকে পড়েছে এলাকার শিশু থেকে প্রসূতি মায়েরা৷
এ বিষয়ে জায়গার মালিক শ্রীমতী রসমতি দাস অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত ও সালেমা সিডিপিও অফিস চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারমা করেছে তাই শেষমেশ বাধ্য হয়ে কেন্দ্রটি তালা বন্ধ করে রাখে৷ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, মহকুমাশাসক শুভাশিস দাস তালা খুলে দেওয়ার জন্য টিপ সি নেয় উনার কাছ থেকে৷ তেমন সময় তিনি রাজি হয়নি তখন সময় মহকুমা শাসক উনাকে ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ রসমতি দাসকে৷ পরে এবিষয়ে মহকুমা শাসক শুভাশিস দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় সরকারি সম্পত্তি বন্ধ করা বেআইনী৷ যদি কোনো জায়গা নিয়ে বক্তব্য থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে শেষ হবে৷ কিন্তু তালা মারার অধিকার নেই৷ তিনি জানান, যদি সইচ্ছায় তালা না খোলা হয় তাহলে আইনী পদ্ধতিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *