নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে৷৷ অমরপুরের ক্ষুদিরাম পল্লিতে বসতঘরে ধস চাপায় দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে৷ একই ঘরে অপর দুই ছাত্রী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে৷ মৃত ছাত্রীর নাম প্রভারাণী জমাতিয়া৷ আহত দুই ছাত্রীর নাম হল প্রজতি রিয়াং (১২) এবং কবিরুং রিয়াং (১২)৷ তাদেরকে প্রথমে অমরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাদেরকে গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অমরপুরের ক্ষুদিরামপল্লীর তিন নং ওয়ার্ডের তাতন ভৌমিকের বাড়িতে ভাড়া থাকত তিন সুকল ছাত্রী৷ এরা একই ঘরে থাকতো৷ গতকাল থেকে অবিরাম বর্ষণে ঐ ঘরের পাশে রাস্তার পেলাসিটিং ভেঙ্গে মাটি ধসে পড়ে ঐ ঘরটিতে৷ ফলে ঘরের ভিতরেই ধস চাপা পড়ে তিন ছাত্রী৷ ঘটনা শনিবার ভোর চারটা নাগাদ৷ টের পয়ে বাড়ির মালিক তাতন ভৌমিক সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড়ে যান বীরগঞ্জ থানায়৷ পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে ঘটনার খবর জানান৷ খবর পেয়ে সাথে সাথে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ বিধবস্ত ঘরের ভিতর থেকে তিন ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়৷ তাদের মধ্যে প্রভারাণী জমাতিয়া অচৈতন্য অবস্থায় ছিল৷ তাদেরকে অমরপুর হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রভারাণী জমাতিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ অপর দুই ছাত্রী কবিরুং রিয়াং ও প্রজতি রিয়াংয়ের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় অমরপুর হাসপাতাল থেকে উদয়পুর গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে৷ এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে অমরপুরের এসডিএম অরুণ কুমার রায়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান৷ তারা ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন৷ মৃত ছাত্রী প্রভারাণী জমাতিয়ার পরিবারকে আপদকালীন সাহায্য হিসেবে দশ হাজার টাকা এবং আহত দুই ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়৷ তাদের চিকিৎসা সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হয়৷ ধস চাপায় ছাত্রীর মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ এদিকে, সুকলের শিক্ষকরা মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে ছুটে যান৷ তারা গভীর শোক জ্ঞাপন করেন৷ মৃত ছাত্রীর পরিবার শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছে৷ সুকলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন প্রভারাণী ভাল ছাত্রী হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ছিল৷ তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা সুকল শোকস্তব্ধ৷
2016-05-22