হাসপাতালে রোগী দেখার সময়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস, কমলপুরে বিক্ষোভ রোগীদের

Healthবিশেষ প্রতিনিধি, কমলপুর, ১০ মে৷৷ আউটডুরে রোগী না দেখে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন একজন চক্ষু চিকিৎসক৷ ঘটনা মঙ্গলবার দুপুরে কমলপুর বিমল সিংহ ম্যামোরিয়াল হাসপাতালে৷
হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় কোন চিকিৎসক যদি বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যাস্ত থাকে, তাহলে সরকারী হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের ক্ষোভ হওয়াটা স্বাভাবিক৷ এই ধরনের ঘটনা নতুন নয় প্রতিদিনই সারা রাজ্যে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়৷ এমনিতে চিকিৎসক সংকট চলছে কমলপুর মহকুমা হাসপাতালে৷ তার উপর সরকারী ডিউটিকে তোয়াক্কা না করে যদি কোন চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যাস্ত থাকেন তাহলে সাধারন মানুষ যাবেন কোথায়? মঙ্গলবারের ঘটনাতে মানুষ যে কতটুকু ক্ষুব্ধ তা আঁচ করা গেল কমলপুর বিএসএম হাসপাতালে৷ ঐদিন চক্ষু চিকিৎসক মধূসূধন দাস সকাল ১০ টা থেকে হাসপাতালের বর্হি বিভাগে রোগী দেখার কথা৷ যেহেতু কমলপুর পিএসএম হাসপাতালে কোন চক্ষু বিশেষজ্ঞ নেই তাই আমবাসা জেলা হাসপাতাল থেকে চক্ষু চিকিৎসক প্রতি মঙ্গলবার ১০ টা থেকে রোগী দেখেন৷ কিন্তু লক্ষনীয় বিষয় হল ডাক্তার বাবুর দর্শন পেতে সাধারণ রোগীরা সকাল ৮ টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে পরেন৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় ১০ টা থেকে ১১ টা বেজে গেলে ডাক্তারবাবু আসলে সাধারন মানুষ জানতে চান, স্যার আমরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, এত দেরী কেন? এতে ক্ষেপে যান ডাক্তার বাবু এবং রোগীও রোগীর আত্মীয়া স্বজনদের গালি গালাজ করেন বলে অভিযোগ করেন লাইনে দাঁড়ানো মানুষ৷ তাদের বক্তব্য কমলপুর বিএসএম হাসপাতালের সরকারী পরিষেবা শুন্যের কোটায়৷ সাধারণ রোগীর কথা কেউ ভাবেনা৷ পয়সা যার আছে সবই তার৷
এখন প্রশ্ণ উঠছে কমলপুর হাসপাতালে পরিকাঠানো কোথায়? কেন ডাক্তার নেই? কেন রোগীদের বাধ্য করা হয়েছে চড়া অর্থ দিয়ে প্রাইভেটে ডাক্তার দেখাতে? আর কেনই বা ডাক্তার বাবু সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ডিউটি ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেন? এই সব কিছুর জন্য রাজনৈতিক দল, ক্লাব, সামাজিক সংস্থ্যারগ ভূমিকা কোথায়? এই প্রশ্ণের উত্তরের অপেক্ষায় দিন মজুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ৷