BRAKING NEWS

নেত্রীর সাথে কথা বলার পরই তৃণমূলে যোগদান, বহিসৃকত হয়েই কলকাতায় ছুটে গিয়ে মুকুল রায়ের সাথে বৈঠক করলেন সুদীপ

SUDIP Trinamoolনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ প্রত্যাশিত ছিল৷ হয়ত এই অপেক্ষাতেই ছিলেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ৷ দল থেকে বহিষ্কার হতেই সোজা ছুটে গেলেন কলকাতায়৷ নিজাম প্যালেসে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ মুকল রায়ের সাথে বৈঠক করেছেন৷ সূত্রের খবর, রবিবার এই বৈঠকে সুদীপ রায় বর্মণের সাথে ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক আশিস কুমার সাহা এবং বহিষৃকত প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, আগামীকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনজনই৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে দলনেত্রীর সাথে সুদীপ বর্মণরা দরকষাকষি করবেন বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷ অবশ্য, সুদীপ বাবু তৃণমূলের সাথে বৈঠক কিংবা যোগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন৷ স্পষ্টভাবে এবিষয়ে কিছু না জানালেও ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সমস্ত বিষয় খোলাসা হয়ে যাবে৷ তাতে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা খোদ সুদীপ রায় বর্মণই উস্কে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷
দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠায় কংগ্রেস হাইকমান্ড সুদীপ বর্মণকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ রাজ্যে কংগ্রেস দলে গত কয়েকদিনে বিদ্রোহের দাবানল যেভাবে ছড়াচ্ছিল হয়ত বা তা নেভাতেই সুদীপ বর্মণকে বহিষ্কার করে অন্যান্যদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার কৌশল নিয়েছে হাইকমান্ড৷ দলের একনিষ্ঠ অনুগত হিসেবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার মতে, একেক রাজ্যে একেক রকম নীতি থাকাটা রাজনীতির পরিভাষায় যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক৷ শনিবার কংগ্রেস ভবনে সুদীপ অনুগামীরা যে তান্ডব চালিয়েছিলেন তার প্রতিক্রিয়ায় বীরজিৎবাবু সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হঁুশিয়ারি দিয়েছিলেন৷ তখন তিনি পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সাথে সখ্যতা এবং রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াই এই দুই নীতির কি কারণ এনিয়ে প্রশ্ণ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন রাজনীতিতে সবই সম্ভব৷ পশ্চিমবঙ্গে মিত্রতা হলেই যে এ রাজ্যে বামেদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়াই করবে না এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই৷ তিনি কেরলের উদাহরণ তুলে ধরে জানিয়েছিলেন, সেখানে ময়দানে সিপিএম-কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ৷ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেসের জামা গায়ে লাগিয়ে দলবিরোধী কাজ কোন মতেই বরদাস্ত করা হবে না৷ বিদ্রোহ করতে চাইলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি তাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন৷ এদিকে, বর্মণপন্থীরা আখের গোছাতে উঠে পড়ে লেগেছেন৷ এখন পর্যন্ত কংগ্রেসের বিভিন্ন পদাধিকারীরা যারা পদত্যাগ করেছেন তারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ে দলত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আগাম জানিয়ে রেখেছেন৷ তাতে মনে করা হচ্ছে, সুদীপ বর্মণরা তৃণমূলে যোগ দিলে হয়তবা অন্য বিদ্রোহীরাও একই পথে হাঁটবেন৷ তাতে আগামীদিনে রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরে বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে৷ ইতিমধ্যে, প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সকলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলেই জানিয়েছে৷ তবে, সুদীপ বর্মণরা তৃণমূলে যোগ দিলে বর্তমান প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি এবং চেয়ারম্যানের গদি ঠিক থাকবে কিনা সে বিষয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে বিস্তর অদলবদল করা হবে৷ তাতে কেউ কেউ পদ থেকে বাদও পড়তে পারেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *