BRAKING NEWS

গোপনে কাসিম বিক্রি, ধৃত মহিলা

handcuffনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ কাছিম লুপ্তপ্রায় প্রাণীতে পরিণত হয়েছে৷ কাছিম বাজারজাত করা ও কাছিমের মাংস ভক্ষণ করা আইননত নিষিদ্ধ৷ এই আইন উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে লুকোচুরি করে কাছিম বিক্রি অব্যাহত রয়েছে৷ আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনামুড়া থেকে আগরতলাগামী একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি বড় কাছিম ও ১২টি কাট্টা সহ এক মহিলাকে আটক করল আমতলী থানার পুলিশ৷ পরে উদ্ধারকৃত কাছিম ও ধৃত মহিলাকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন আমতলী থানার পুলিশ৷ ধৃত মহিলার নাম তাজু বেগম এবং উদ্ধারকৃত কাছিমগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর৷
ফেন্সিডিল, সোনা, গরু থেকে শুরু করে কাছিম সবকিছুর জন্যই পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই শহর আগরতলা৷ বুধবার আগরতলায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা বাংলাদেশের ১৭টি কাছিম সহ পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক মহিলা পাচারকারী৷ জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগরতলা গামী সোনামুড়ার একটি গাড়িতে তল্লাশি চািলয়ে এক মহিলা সহ ১৭টি কাছিম উদ্ধার করেছে আমতলী থানার পুলিশ৷ পরে মহিলাও কাছিমগুলোকে বন দপ্তরের সদর রেঞ্জ অফিসের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেন আমতলী থানার পুলিশ৷ এদিন সদর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের ফরেস্টার বিমল শর্মা সংবাদ দিয়ে জানান, উদ্ধারকৃত ১৭টি কাছিমের মধ্যে ৫টি বড় কাছিম এবং ১২টি কাট্টা৷ এই ঘঠনায় ১জন মহিলাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ জানা গেছে, ধৃত মহিলার নাম তাজু বেগম৷ উনার বাড়ি সোনামুড়া মহকুমার রবীন্দ্র নগরের শোভাপুর গ্রামে৷ এর আগেও চড়ইলামে এ মহিলাকে কাছিম সহ গ্রেপ্তার করে বনদপ্তরের কর্মীরা৷ এদিন ধৃত তাজু বেগম এ কথা স্বীকার করে জানান, আগে তিনি এ ব্যবসায় নামেন নি৷ তিন মেয়ে ও দুই ছেলে তাকে ফেলে রেখে স্বামী আবু সায়েদ আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে৷ ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার খঁুজে দিতেই এ পথে নামেন তিনি৷ এই অবৈধ ব্যবসার টাকা দিয়েই বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন৷ বড় ছেলে চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করে৷ বাংলাদেশ থেকে কাছিম এনে আগরতলায় বিক্রি করেন বলেও জানান তাজু বেগম৷
জানা গেছে উদ্ধারকৃত এই কাছিমগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা হবে৷ এদিন বন দপ্তর কাছিমগুলো ও ধৃত মহিলাকে আদালতে সোপর্দ করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *