BRAKING NEWS

বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ বিল প্রদানে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

POWER MANIKনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল৷৷ রাজ্য সরকারের আওতাধীন সমস্ত দপ্তরের বিদ্যুৎ বিল এখন থেকে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগমের নতুন বিলিং পদ্ধতি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ বিল প্রদান ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হবে৷ নতুন এই পদ্ধতি চলতি মাস থেকেই চালু হয়েছে৷ নতুন এই পদ্ধতিতে প্রতিটি দপ্তরকে কেন্দ্রীয় ভাবে আগরতলাতে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে৷ এই নোডাল অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সারা রাজ্যের বিভিন্ন কার্যালয়ের বিদ্যুতেরর বিল কেন্দ্রীয়ভাবে একযোগে প্রদান করা হবে৷
বিদ্যুৎ বিল প্রদানের নতুন এই পদ্ধতিকে সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসার ও আধিকারিকদের আরো বিস্তারিতভাবে অবগত করানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দের সভাপতিত্বে আজ প্রজ্ঞাভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী নতুন পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করে বলেন, এই পদ্ধতির সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে সমন্বয় সাধন করে একযোগে কাজ করতে হবে৷ এক্ষেত্রে কোন ধরনের অসুবিধা আসলে তা সংশ্লিষ্ট নিগমের আধিকারিকের নজরে নিয়ে আসতে হবে৷ তিনি বলেন, নতুন এই পদ্ধতিতে যাওয়ার আগে জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সমস্ত বকেয়া বিলগুলির এককালীন মীমাংসা হয়ে গেছে৷ এখন থেকে নতুন পদ্ধতিতে সমস্ত দপ্তরের বিদ্যুতের বিল গ্রহণ করা হবে৷ তিনি বলেন, নিগমের আওতাধীনে সারা রাজ্যে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে৷ এতো বিশাল গ্রাহকদেরকে অক্ষুণ্ণ্ বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলও সংগ্রহ করতে হবে৷ তেমনি ভাবে সারা রাজ্যে ৪০ হাজার কিমি সার্ভিস লাইনের দেখা শুনার জন্যও দপ্তরে প্রচুর লোকের প্রয়োজন রয়েছে৷ এজন্য দপ্তরের উদ্যোগে জেলাশাসক বা ব্লক কার্যালয়ের সহযোগিতায় ২/৩ জন শ্রমিককে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটখাটো মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পর দায়িত্ব দেওয়া হবে৷ তিনি রাজীবগান্ধী গ্রামীণ বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের আওতায় (দ্বিতীয় পর্যায়ে) যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করার উপর জোর দেন৷ বৈঠকে মুখ্যসচিব যশপাল সিং, অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব ডা জি এস জি আয়েঙ্গার, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব এস কে রাকেশ প্রমুখ এই নতুন পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়গুলির উপর আলোচনা করেন৷ এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান মুখ্য বনসংরক্ষক, সি এম ডি সহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকগণ৷
এদিন মহাকরণে বিদ্যুৎমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ ভোক্তা বিদ্যুতের বকেয়া বিল সময়মতো মিটিয়ে দিচ্ছেন না৷ তবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে৷ বহু ভোক্তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ অনেকের বিরুদ্ধে সার্টিফায়েড কেইস করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে অনেকে বকেয়া বিল মিটিয়ে দিতে সম্মত হলে তাদেরকে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে৷ আগামীদিনেও বিদ্যুতের বকেয়া বিল যারা দীর্ঘ সময় ধরে মেটাবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *