BRAKING NEWS

উড়ালপুল নির্মাণে খাস জমি উদ্ধারে কঠোর হল জেলা প্রশাসন

FLYOVERনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা ২২ এপ্রিল ৷৷ উড়ালপুল নির্মাণে বড়দোয়ালিতে যাদের খাস জমিতে বাড়ি কিংবা দোকান রয়েছে তাদের জায়গা ছাড়তে হবে বলে জানালেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক মিলিন্দ রামটেকে৷ বৃহস্পতিবার থেকেই মাইকিং করে খাস জমিতে যারা জায়গা দখল করে রেখেছেন তাদের উঠে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানায় জেলা প্রশাসন৷ আজও বড়দোয়ালি এলাকায় মাইকিং করার সময় কয়েকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ এবিষয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ আইন মোতাবেক সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন৷ ঐ এলাকায় যাদের খাস জমি রয়েছে তাদের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ২০১৩ সালেই পূর্তদপ্তর, মহকুমাপ্রশাসন এবং তৎকালীন পুরপরিষদ যৌথ সমীক্ষায় ঐ এলাকায় সীমানা নির্ধারণ করে দেয়৷ সে মোতাবেক পিলারও বসানো হয়৷ কিন্তু কিছু লোক পিলার তুলে সেখানে বিল্ডিং বানিয়ে নেন৷ সম্প্রতি উড়ালপুলের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ঐ এলাকায় যানজটের সমস্যা বেড়েছে৷ আগামীদিনে আগরতলা-সাব্রুম সড়কটি দুইলেনের করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই জায়গার প্রয়োজন পড়বে৷ এদিন, জেলাশাসক জানান, ঐ এলাকায় খাস জমিতে মোট ৯১টি দোকান ও বাড়ি রয়েছে৷ তাতে তিনটি বাড়ি এবং ৮৮টি দোকান রয়েছে৷ এগুলির মধ্যে ১১টিতে বাড়ির মধ্যেই দোকানঘর রয়েছে৷ তিনি জানান, মাস চারেক আগেও পুর নিগম মাইকিং করে জায়গা খালি করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল৷ তিনি আরো জানান, যারা খাস জমি দখল করে রয়েছেন তাদের মধ্যে ৮জন আদালতে মামলা করেন৷ কিন্তু আদালত রাজ্য সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে৷ তবে, তাদের মধ্যে তিনজন পুর নিগমের আদালতে মামলা করেছেন৷ তাদের মামলার এখনো রায় বের হয়নি৷ এদিন, জেলাশাসক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঐ এলাকায় উড়ালপুলের কাছাকাছি খাস জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হবেই৷
এদিকে, ত্রিপুরা মোটর ভেহিক্যাল রুলস ১৯৯১ এর ১০৫ নং ধারা এবং মোটর ভেহিক্যাল এ্যাক্ট ১৯৯৮ এর ১১৬ এবং ১১৭ নং ধারা অনুযায়ী পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য নিম্নলিখিত রাস্তা ব্যবহার করার ব্যবস্থা সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা জারী করেছেন৷ এই নির্দেশিকা অনুযায়ী-
১) আমতলী বাইপাস-বঙ্গেশ্বর ব্রিজ-মহেশখলা মুখ-মলয়নগর-রেলব্রীজ- বনকুমারী-যোগেন্দ্রনগর-বিদ্যাসাগর চৌমুহনী-কলেজটিলা-মঠ চৌমুহনী-পুরাতন মোটরস্ট্যান্ড (ভারী যানবাহন সহ যে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে)৷
২) আমতলী বাইপাস-মহেশখলা (সেন্ট্রাল রোড এক্সটেনশন) নিউ জুয়েলস ক্লাব-চন্দ্রমোহন সেতু (পুরাতন ঝুলন্ত ব্রীজ)-হাওড়া বাঁধের নীচ দিয়ে ফরেষ্ট অফিসের সামনে হয়ে বটতলা (মাঝারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে)৷
৩) বটতলা-চন্দ্রমোহন সেতু (পুরাতন ঝুলন্ত ব্রীজ) ভায়া হাওড়া বাঁধের উপর দিয়ে নিউ জুয়েলস ক্লাব-মহেশখা (সেন্ট্রাল রোড এক্সটেনশন)- বাইপাস-আমতলী (হালকা ও মাঝারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে)৷
৪) বাইপাস-রবীন্দ্রনাথ সংঘ ক্লাব-ইচাবাজার-দশরথ দেব স্টেডিয়াম- পশ্চিম প্রতাপগড়-জুয়েলস ক্লাব-চন্দ্রমোহন সেতু- হাউড়া বাঁধের নীচ দিয়ে ফরেষ্ট অফিসের সামনে হয়ে বটতলা (মাঝারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে)৷
৫) বটতলা-চন্দ্রমোহন সেতু-হাওড়া বাঁধের উপর দিয়ে ফরেষ্ট অফিস হয়ে জুয়েলস ক্লাব-পশ্চিম প্রতাপগড়-দশরথ দেব স্টেডিয়াম- ইচাবাজার – রবীন্দ্র নাথ সংঘ ক্লাব-বাইপাস (মাঝারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবেন)৷
৬) বটতলা বাঁশ বাজার- যুবক সংঘ- জনকল্যাণ ক্লাব-বিবেকানন্দ সুকল বড়দোয়ালী সুকল (কেবল হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে)৷
শুধুমাত্র যাত্রীবাহী বাস এবং যাত্রাবাহী ছোট গাড়িগুলি নাগেরজলা বাসস্ট্যান্ড অব্দি আসতে পারবে৷
সুকল বাস, অ্যাম্বুলেন্স এবং খাদ্য দপ্তরের খাদ্য বহনকারী যানবাহন পূর্ব নির্ধারিত রাস্তায় চলাচল করতে পারবে৷
বটতলা/পুরতান মোটরস্ট্যান্ড পৌঁছানোর সাথে সাথেই গাড়িগুলিকে পরবর্তী গন্তব্যের জন্য রওয়ানা হতে হবে৷ এই নির্দেশিকা ২২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *