BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় কংগ্রেস-সিপিএমে যুদ্ধের মহড়া, বঙ্গ রাজনীতিতে বিপাকে জোট, কংগ্রেসে গোষ্ঠী রাজনীতি প্রবল সত্বেও রাজ্যে বনধে স্বাভাবিক জীবন অচল

Strikeeeeনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, তেলিয়ামুড়া, বিলোনীয়া, কুমারঘাট, বিশালগড়, কৈলাসহর, ১৮ এপ্রিল৷৷ গোষ্ঠী কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়েও ২৪ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধে স্বাভাবিক জীবন অচল হয়ে পড়েছে৷ বীরজিৎ গোষ্ঠী একদিকে যখন বনধের সমর্থনে রাজ্য কাঁপাচ্ছে অন্যদিকে বর্মণ শিবির নিজেদের সম্পূর্ণভাবে এই কর্মসূচী থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে৷ তবে, এই বনধ বিশেষভাবে প্রভাব ফেলতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে বাম ও কংগ্রেস নেতারা হাত ধরাধরি করে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন৷ ঠিক তখনই সিপিএম বিরোধী স্লোগান তুলে কংগ্রেসের ২৪ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধ বঙ্গ রাজনীতিতে এই দুই দলের জোটের প্রশ্ণে রাজনৈতিক পরিবেশ আরো ঘোলাটে হয়ে পড়েছে৷ এদিন, বনধের সমর্থনে পিসিসি সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বিধায়ক গোপাল রায়কে সঙ্গে নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন৷ মুখ রক্ষার খাতিরে বিধায়ক জিতেন সরকার তাঁদের সাথে বনধের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছেন৷ এসেছেন বিধায়ক দিলীপ সরকারও৷ কিন্তু প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি আশিষ কুমার সাহা এদিন এই বনধ থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন৷ দেখা যায়নি কংগ্রেসের যুব ব্রিগেডের চেনা মুখগুলিকেও৷ প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী এবং ভিকি প্রসাদরাও বর্মণ শিবিরের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে বনধ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন৷ ফলে, স্বাভাবিকভাবেই এদিন বনধ পরিচালনায় অনেকটাই ছন্নছাড়া ভাব ফুটে উঠেছে৷ তা সত্ত্বেও রাজ্যে এই বনধকে ঘিরে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে৷ এই বনধকে সিপিএমের সাথে কংগ্রেসের যুদ্ধের মহড়া বলে আখ্যায়িত করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল৷ ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেস-সিপিএমে জোট চ্যালেঞ্জের মুখে৷ কারণ, ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ডাকে ২৪ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷ আর তাতে মহা সংকটের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ আগামীকাল তিনি পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী সভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন৷ ত্রিপুরায় রাজনৈতিক শত্রুতা এবং বঙ্গে মিত্রতা, তাতেই স্ববিরোধী অবস্থান ফুটে উঠছে৷ ফলে, জোটের প্রশ্ণে জল আরো ঘোলাটে হয়ে উঠবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷
[vsw id=”nV3NvakVLw8″ source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]কংগ্রেসের ডাকা ২৪ ঘন্টার বন্ধে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্রই মিশ্র সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে৷ আগরতলা শহরে সকালে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত হিংসাত্মক ঘটনা সংগঠিত করে বন্ধ সমর্থকরা৷ ধলাই জেলার কমলপুরে বন্ধ সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে শাসক দলের ক্যাডার বাহিনী৷ তাতে তিনজন কংগ্রেস সমর্থক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ খোয়াইয়েও আমরা বাঙালির সমর্থকদের উপর বন্ধ চলাকালে স্কোয়ার্ডিং করায় হামলা শাসক দলের সমর্থকরা৷ তাতে কয়েকজন অল্প বিস্তর জখম হয়েছেন৷ রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকেও বন্ধকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার খবর মিলেছে৷ বন্ধ সমর্থকরা কম সংখ্যায় পিকেটিং করলেও শাসক দলের সমর্থকদের কঠোরভাবে বিরোধীতা করার তেমন কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি৷ ফলে বন্ধ অনেকটাই সফল হয়েছে৷ অনেকেরই অভিমত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএম’র মধ্যে আতাঁত গঠনের ফলেই ত্রিপুরাতেও এর প্রভাব পড়েছে৷
এদিন, প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিমল সিনহা হত্যাকান্ডে ইউসুফ কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে শাসক দল সিপিআইএমকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সোমবার সকাল থেকে ২৪ ঘন্টার ত্রিপুরা বন্ধের ডাক দিয়েছিল৷ একই দাবিতে আমরা বাঙালি দলও ২৪ ঘন্টা বন্ধের ডাক দেয়৷ কার্যত বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সুদীপ রায় বর্মণের পদত্যাগের পর কংগ্রেস দলে যে নিস্তব্ধতা পরিলক্ষিত হয় তাতে বন্ধ কতটা সফল হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল৷ তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বিষয়টিকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বন্ধ সফল করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন৷ বীরজিৎগোষ্ঠির লোকজনরা বন্ধ সফল করার জন্য বলতে গেলে সর্ব শক্তি নিয়ে সোমবার সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েন৷ বিধায়ক গোপাল রায়, জিতেন সরকার, প্রাক্তন অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময় নাথ, কমলপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব হাতে গুনা কিছু নেতা বন্ধের সমর্থনে প্রকাশ্যে পিকেটিংয়ে সামিল হন৷ সুদীপপন্থিদের বন্ধের সমর্থনে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি৷ তদুপরি বন্ধ অনেকটাই সফল হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা দাবি করেছেন স্পর্শকাতর ইস্যুতে ডাকা বন্ধে রাজ্যের জনগণ স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া দিয়েছেন৷ ফলে বন্ধ সর্বাত্মক সফল বলে তাঁর দাবী৷ তবে শাসক দল সিপিআইএম বন্ধ প্রত্যাখাত হয়েছে বলে দাবি করেছে৷
বন্ধের সমর্থনে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সোমবার সকাল থেকে পিকেটিংয়ে সামিল হয় কংগ্রেস সমর্থকরা৷ বেশ কিছু জায়গায় আমরা বাঙালি সমর্থকদেরও পিকেটিং করতে দেখা গেছে৷ তবে তারা সংখ্যায় ছিল খুবই কম৷ বন্ধের আহ্বান উপেক্ষা করে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় নামায় বন্ধ সমর্থকরা সোমবার সকালে আগরতলা পশ্চিম থানার নাকের ডগায় তিন/চারটি অটো রিক্সা ভাঙচুর করেছে৷ বিবেকানন্দ ময়দান সংলগ্ণ এলাকায় একটি অটো এবং আগরতলা মেডিক্যাল কলেজের ভাড়া করা একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বন্ধ সমর্থকরা৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অটো রিক্সা থেকে শুরু করে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ নাগেরজলা, রাধানগর এবং চন্দ্রপুর আইএসবিটি থেকে কোন যানবাহন চলাচল করেনি৷ বন্ধের ফলে জাতীয় সড়কেও কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনি৷ তবে, পুলিশের তরফে বিমান বন্দরের যাত্রীদের জন্য বাসের বন্দোবস্ত করা হয়৷ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিমান যাত্রীদের বিমান বন্দরে পৌছে দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, বেলা এগারটার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক গোপাল রায় সহ কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের অফিসের দিকে রওয়ানা হন৷ তখনই পুলিশ তাদের গতিরোধ করে৷ বন্ধ সমর্থকরা গ্রেপ্তার বরণ করেন৷ তাদেরকে এডিনগর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বিকেলে তাদের সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়৷
কংগ্রেসের ডাকা ২৪ ঘন্টা বনধ তেলিয়ামুড়ায় তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও কিছু একটা সারা লক্ষ করা গেছে৷ তেলিায়মুড়ার বেশিরভাগ দোকানপাটই খোলাছিল৷ অফিস, বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই ছিল খোলা, কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে বেশি গাড়ি না আসায় অফিস, বিদ্যালয় ও ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মী স্বল্পতা লক্ষ করা যায়৷ বনধকে ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল৷ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই৷ তবে লক্ষ টাকার মত বিষয়টি হল কংগ্রেসের ডাকা বনধের সফলতা আনার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোন পিকেটার বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি৷ বা মাঠেও ছিল না তারা৷ বনধ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিপিএম তেলিয়ামুড়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক শ্রী সুধীর সরকার জানায়, কংগ্রেসের ডাকা বনধের আমরা তীব্র বিরোধিতা করেছি৷ কারণ এই বনধ অযৌক্তিক৷ এই বনধ জনগণের কোনো কাজেই আসবে না৷ সন্ত্রাসবাদ বা উগ্রপন্থার সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী সরকার বলেন, কারা উগ্রপন্থীর সাথে জড়িত ছিল তা ত্রিপুরার জনগণ ভাল করেই জানেন৷ তাই আজকের কংগ্রেস আয়োজিত ২৪ ঘন্টা ত্রিপুরা বনধকে তেলিয়ামুড়া মহকুমাবাসী প্রত্যাখ্যান করায় তিনি মহকুমাবাসীকে অভিনন্দন জানান৷ অপরদিকে আজকের বনধের ব্যাপারে কংগ্রেস নেতৃত্ব তথা তেলিয়ামুড়া ব্লক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিষ দেবনাথ জানান যে তেলিয়ামুড়ার কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীরা এই বনধকে বয়কট করেন৷ তিনি আরো বলেন, যে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সিপিএম মিতালী কোনভাবেই তারা মানতে পারছেন না৷ এছাড়া বিরোধী দলনেতা বীরজিৎ সিনহা নিজের মনগড়া এই বনধ ডেকেছেন হাইকমান্ডকে সন্তোষ্ট করার লক্ষ্যে৷ তাই তারা এই বনধের বিরুদ্ধে৷ তবে আগামী দিনে যে রাজ্যের অন্যান্য নেতৃত্ব স্থানীয়দের মত তেলিয়ামুড়া কংগ্রেস নেতৃত্ব ও অনান্য ভাতৃ সংগঠনের নেতৃত্বরা নিজেদের পদ থেকে সরে যাবেন তা উনার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠে৷ তবে একথায় তেলিয়ামুুড়ায় সে আগামীদিনে কংগ্রেস দলের ভবিষ্যত কোন দিকে মোড় নেবে তা এখন সময়ই কথা বলবে৷
বঙ্গে বন্ধু হওয়ার কারণে বাম শাসিত ত্রিপুরা রাজ্যে বন্ধু কংগ্রেসের ডাকা ২৪ ঘন্টার বনধ শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হল বিলোনিয়ায়৷ সকালে বনধ সুন্দরভাবে সফল হতে থাকলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট, চলতে শুর করল ছোট যানবাহন৷ বনধ ছিল দূরপাল্লার বাস গাড়িগুলি৷ খোলাছিল ব্যাঙ্ক, সুকল, অফিস আদালত৷ দেখার মত দিক হল কংগ্রেসের ডাকা বিগত অন্য বনধগুলিতে বিলোনিয়া সহ পুরো জেলায় অশান্তি থাকলেও এবার কিন্তু তা হয়নি৷ সকাল ৬টায় ডান-বাম কোন পক্ষের পিকেটার ছিল না রাস্তায়৷ তৎপরতা ছিল না পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও৷ সকাল ৭টা পর্যন্ত তালা বন্ধ ছিল বনধ ডাকা কংগ্রেস ভবন৷ একই ছবি বন্ধ বিরোধী সিপিএম কার্যালয়েও৷ এখানে তালা না থাকলেও কোন কর্মী ছিল না৷ বিলোনিয়ায় অন্যান্য কংগ্রেসের ডাকা বনধের ছবি ছিল সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বামেদের থানা এবং কংগ্রেস ভবন এলাকায় বনধের বিরুদ্ধে পিকেটিং৷ কংগ্রেসের ৬টডায় বনধ সফলতায় পিকেটিংও তার আগে ভবনে তৎপরতা এবং একই সময়ে পুলিশের তৎপরতাও নষ্ট করা৷ কিন্তু এবারের ছবি বিপরীত বিরলতম৷ যেখানে বনধের দিনে অশান্তি বিলোনিয়া এবং দক্ষিণ জেলা বিগত দিনে রাজ্যের মধ্যে শিরোনামে ছিল৷ সেখানে আজ এই ছবি মানুষ হতবাক৷ বঙ্গে বাম কংগ্রেসের দোস্তি নাকি এখানে দেখা গেছে৷ বঙ্গের প্রভাব ত্রিপুরায়ও চলছে৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল ১৮ তারিখ কংগ্রেসের বনধ থার কোন প্রচারই ছিল না৷ মানুষ জানতও না৷ আর বিরোধিতা করে প্রচার করল মিছিল মিটিং করে সিপিএমই৷ বিরোধিতার জন্য বিরোধীতা কার্যত সমর্থনই ছিল৷
রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে সোমবার ২৪ ঘন্টা ত্রিপুরা বনধে সারা রাজ্যে যাই পরিস্থিতি হোক ঊনকোটি জেলায় বনধ সর্বাত্মক৷ ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমায় কুমারঘাট শহর এবং পেঁচারতলে বাজার হাট সুকল, কলেজ অফিস সবই বন্ধ৷ ৪৪নং জাতীয় সড়কে আরক্ষা দপ্তরের এবং রোগীর গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়িই চলছে না৷ কৈলাসহর মহকুমায় একই অবস্থা৷ কৈলাসহরে কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েছে৷ এনএসইউআই এবং যুব কংগ্রেস কর্মীরা শহরে মিছিল সংগঠিত করে৷ কৈলাসহর পুর পরিষদের সজল দে পুর পরিষদের অফিসের তালা খুলে অফিস শুরু করেন৷ পনেরো মিনিট পর কংগ্রেস কর্মীরা এসে সজল দেকে গালিগালাজ করে াফিস থেকে বের করে দেয় এবং অফিস তালা দিয়ে দেয়৷ সিজিএম কোর্টে ঢুকতে চাইলে পিসিসি সদস্য রুন্দ্রেন্দু ভট্টাচার্য সিজিএমকে প্রথমে অনুরোধ করে তারপর মাটিতে শুয়ে পড়ে৷ যদিও পাঁচ-দশমিনিট পর পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করে টাউন হলে নিয়ে আসে এবং সিজিএম কোর্টে ঢুকে৷ গোটা জেলায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জমান নেতৃত্ব দিয়েছেন৷
ত্রিপুরা রাজ্যে সোমবার ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস এবং আমরা বাঙালির ডাকে বনধ বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় মিশ্র সাড়া পাওয়া যায়৷ বিশালগড় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোমবারের বনধকে সমর্থন করে সর্বাত্মক সার্থক হয়েছে বলে জানান৷ তাদের দাবি সারা রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্তব্ধ, খোলা হয়নি কোন সুকল, বাজার, দোকান এবং ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানও৷ অন্যদিকে সিপিএম এর পক্ষ থেকে দাবি জনগণ বনধ যে সোমবার ডাকা হয়েছে জনগণ তা বুঝতেই পারেনি৷ ফলে সুকল, হাটবাজার এবং ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান সবদিক দিয়েই খোলা রয়েছে৷ বিশালগড় বিদ্যালয়, অফিস, খোলা রয়েছে৷ কাজ পুরোদমে চলছে৷ সব পথচারী অফিসে ঠিকভাবে বসেছে বলে জানান বিদ্যালয় পরিদর্শক আগনকুমার ত্রিপুরা৷ সবদিক দিয়ে বিচার করে দেখা যায় কমলাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় সব দোকান খোলা রয়েছে৷ অন্যদিকে বিশালগড় বাজার, চড়িলাম বাজারে সম্পূর্ণ দোকান বন্ধ রয়েছে৷ গাড়িও রাস্তায় তেমন দেখা যায়নি৷ সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল বিশালগড়, কমলাসাগর চড়িলাম এলাকায় কোন কংগ্রেস কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি৷ এবং বিশালগড় কংগ্রেস অফিস বন্ধ হয়ে আছে কংগ্রেস কর্মীদের দেখা নেই৷ যার ফলে সব ধরনের কর্মচারীরা ইচছামতো অফিসে যেতে পেরেছে৷ বলাবাহুল্য বনধ মিশ্র সাড়া পাওয়া যায় বিশালগড় এলাকায়৷
প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা ২৪ ঘন্টা ত্রিপুরা বনধের প্রভাব কৈলাসহরে পড়েছে৷ ঊনকোটি জেলায় বনধ সর্বাত্রক বলে দাবী করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরু জ্জামান৷ কৈলাসহর রাস্তাঘাট, যান চলাচল হয়নি৷ বাজার হাট, সম্পূর্ণ বনধ ছিল৷ জেলাশাসক অফিসে কিছু সংক্ষক কর্মচারী কাজ কর্ম করতে দেখা গেলেও বাকি কৈলাসহরের সবকটি সরকারী বেসরকারী অফিস পুরপুরি বনধ ছিল৷ সকাল ৭টা থেকে শহরে পিকেটিং করছিল কংগ্রেস কর্মীরা৷ যার ফলে বনধের প্রভাব পড়েছে কৈলাসহরে৷
উল্লেখ্য প্রাক্তন মন্ত্রী বিমল সিনহা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে ঘটিতে ইউসুফ কমিশনের রিপোর্টের পরিপেক্ষিতে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পথ ত্যাগের দাবী ও হত্যাকান্ডের তদন্ত সি বি আইকে প্রদান করার দাবিতে আজ প্রদেশ কংগ্রেস ২৪ ঘন্টা ত্রিপুরা বনধের ডাক হয়৷ কৈলাসহরে বনধের পিকেটিং করতে পুরপরিষদ অফিসের এক কর্মচারী সাথে বজসা হয় কংগ্রেস কর্মীদের৷ অন্যদিকে সি পি এম অফিসে ডোকার সময় কংগ্রেস কর্মীদের সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়৷ এছাড়া কৈলাসহরে বনধ শান্তিপূর্ণ৷ পিকেটিং করতে গিয়ে গ্রেপ্তার বারন করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি, বদরু জ্জামান, পি বি সির সদস্য রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য্য,যুব নেতা রনু মিয়া, নির্মল মালাকার, এন এস ইউ আই নেতা খালেন্দু জ্জামান, প্রমুখ্য৷ মোট ৩০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি একদিকে সরকারী ভাবে জানা গেছে কৈলাসহরে মোট ২০৭ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *