BRAKING NEWS

বর্ষায় পূর্বোত্তরে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন

MAUSAMনিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল৷৷ চারপাশে যাকেই জিজ্ঞাসা করবেন কেমন আছেন, মোটামুটি সকলে একই উত্তর দেবেন, ‘উফ যা গরম তাতে আর কেমন থাকা যায়’৷ সত্যিই চৈত্র মাস গেলই না এখনও, তার আগে থেকেই গরমে মানুষ পাগল হয়ে যাচ্ছে৷ অনেকে তো আবার অসুস্থও হয়ে পড়ছেন৷ গরমের হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন বুঝতে পারছেন না কেউ৷ সারাদিন রোগ, গরম, ঘাম, নাজেহাল করে দিচ্ছে জনজীবন৷ তবে এই গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আশার আলো দেখাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর৷
শুধু গরমেই নাজেহাল নয়, তীব্র জলকষ্টে ভুগছে অনেক জায়গার মানুষ৷ শস্য উৎপাদন ভালো হচ্ছে না৷ খাবারের দাম বেড়ে যাচ্ছে৷ আবহাওয়ার জন্য একের পর এক সমস্যা৷ মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানা গিযেছে, স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকল্যে বৃষ্ট্যি খুব তাড়াতাড়ি আসবে৷ এবং স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হবে এবছর৷ এই খবরের ওপর নির্ভর করেই তাই কৃষিবিভাগকে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়ার আবেদন করেছে মৌসম ভবন৷
এল নিনোর প্রভাবে এ বছর তেমন ঠান্ডা পড়েনি৷ তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা দেশের মানুষের৷ তবে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এল নিনোর প্রভাব কাটিয়ে তাড়াতাড়ি দেশে আসতে চলেছে বর্ষা৷
এবার বর্ষায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে৷ তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস দেশবাসীকে মঙ্গলবার স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দপ্তর৷ পর পর দুবছর খরার পর অতিরিক্ত বৃষ্টি তাই কৃষি উপাদান ও আর্থিক প্রগতির পক্ষে সহায়ক হবে বলে মানছেন বিশেষজ্ঞরা৷ মৌসম ভবনের ডিজি লক্ষণ সিং রাঠোর এদিন জানিয়েছেন, চলতি বছরে স্বাভাবিকের থেকে ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হতে পারে৷ এদিন আগাম পূর্বাভাস দিতে গিয়ে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এবার বর্ষায় ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হবে৷ সারা দেশেই এই অতিরিক্ত বৃষ্টি হবে৷
তবে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি এবং দক্ষিণপূর্ব ভারত বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হতে পারে৷ আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল লক্ষণ সিং রাঠোর জানিয়েছেন, খরা কবলিত মেরঠওয়াড়াতেও ভাল বৃষ্টি হবে৷ দীর্ঘকালীন গড়ের (এলপিএ) ৯০ শতাংশের কম বৃষ্টি হলে ঘাটতি ধরা হয়৷ ৯০-৯৬ শতাংশ হলে স্বাভাবিকের থেকে কম এবং ৯৬-১০৪ শতাংশ বৃষ্টিকে স্বাভাবিক ধরা হয়৷ ১০৪-১১০ শতাংশ বৃষ্টিকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি আর ১১০-এর বেশি হলে অতিরিক্ত৷ ভারতের কৃষি বৃষ্টির জলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল৷ মাত্র ৪০ শতাংশ এলাকা সেচের জলের আওতায় রয়েছে৷ জিডিপির ১৫ শতাংশ আসে কৃষি থেকে৷ ৬০ শতাংশ মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ৷ ২০১৫-১৬ শস্য বর্ষে খারাপ বর্ষার জন্য ১০টি রাজ্যকে খরা কবলিত ঘোষণা করা হয়েছে৷ কৃষকদের সাহাযার্থে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *