নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ১২ এপ্রিল৷৷ সূর্যের প্রকট তাপে হাবুডুবু রাজ্যবাসীর প্রাণ৷ গরমে দিনে হারে বালক থেকে বয়স্ক লোক৷ কেউ ঠান্ডা জল পান করে তৃপ্তী মেটাচ্ছেন আবার কেউ কেউ ঠান্ডা জাতীয় বিভিন্ন ধরণের ড্রিঙ্ক পান করে ক্লান্তি দূর করছেন৷ নববর্ষের প্রাককালে সূর্য্যের কু-দৃষ্টি পড়েছে পৃথীবির উপর৷ তাই উষ্ণতাও প্রবল বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাছে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসাধু ব্যবসায়ীগন৷ সেই সুযোগে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা জল ও ঠান্ডা ড্রিঙ্ক বাজারে ছেড়ে দিয়ে ভালো মুনাফা করে নিলেও রাজ্যবাসীকে খাওয়াচ্ছেন বিষ৷ এমনি এক ঘটনা ঘটল উত্তরজেলার কদমতলা মিনি টাউনে৷ কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর নাকে তেল দিয়ে বসে আছেন৷ অবশ্যহ কেউ কেউ আবার অভিযোগ তুলছেন আবগরি বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগন ঐসকল অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা পেয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন৷ এদিকে কদমতলা মিনি টাউন মিশ্র বসতির লোকের আনাগোনা তাছাড়া ত্রিপুরা অসম সীমান্ত৷ তাই বহিরাজ্যের লোকের আনাগোনা প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কদমতলার নিলকান্ত দাস নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা জাতীয় ড্রিঙ্ক বিষ জনগনের কাছে ফ্রোটো ম্যাংগ ড্রিঙ্ক ১৫০ মিলিলিটারের বোতল অসংখ্য পরিমাণে মজুত রয়েছে৷ প্রতিটি বোতল দশটাকা করে বিক্রি করে আসছে ব্যবাসায়ী৷ সেই মোতাবেক ঐ ম্যাংগ ড্রিঙ্ক বোতলের একবছর পেরিয়ে গিয়েছে অর্থাৎ মেয়াদ উত্তীর্ণ৷ তবু কিভাবে বাজারে এধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা জাতীয় ড্রীঙ্ক বিক্রি হচ্ছে? এই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা ম্যাংগ ড্রিঙ্ক পান করে কারো যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তবে তার দায়ভার কে বা কারা নেবে? প্রশ্ণ নানা মহলের৷ নিলকান্ত দাসের মতো আরো হাজার নিলকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা ড্রিঙ্ক বিক্রি করেছে৷
2016-04-13

