গুয়াহাটি, ০৪ এপ্রিল, (হি.স.) : নির্ধারিত সকাল সাতটা থেকে অসমে প্রথম দফায় ৬৫টি কেন্দ্রে শান্তিতেই ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে কংগ্রেস-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। হাজোয় দুই তৃণমূল-কর্মী যথাক্রমে সামসুল আলি ও লোকামান আলিকে খুন করা হয়েছে। গত দুদিন আগে সরাবরি বিলপাড়ে দলের একটি নির্বাচনী কার্যালয় খোলে রাতে বাড়িতে ফেরার সময় থেকে ওই দুজন নিরুদ্দিষ্ট ছিলেন। আজ সকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলেই তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে বিজেপি-র সর্বানন্দ সনোয়ালের কেন্দ্র মাজুলির ফুলনি ভোটকেন্দ্রে। ওখানে ভোটারদের বিপথে পরিচালনা করতে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের রোষের শিকার হন কংগ্রেস কর্মীরা। এতে লাঠিসোটা নিয়ে আগত কংগ্রেসিরা বিজেপি-কর্মীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তবে উপস্থিত সিআরপিএফ জওয়ানদের হস্তক্ষেপে তা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও এর রেশ কিন্তু কমেনি। মাজুলিরই আরেকটি ভোটকেন্দ্রে বর্তমান বিধায়ক কংগ্রেস প্রার্থী রাজীবলোচন পেগু ভোটারদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মাজুলিতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাতজন বিজেপি-কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ডিমৌ-এর ৪৭ নম্বর চরগোয়া এলপি স্কুল ভোটকেন্দ্রে কংগ্রেসিদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাঁদের নির্দেশিত পথে না-হাঁটায় ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করে কংগ্রেস-কর্মীরা। তিনি অবশ্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। রঙাপাড়ায় ১০৩ নম্বর বৈয়া বিদ্যালয় কেন্দ্রে কতিপয় কংগ্রেস-কর্মী বেলেল্লাপনা শুরু করলে সেখানে মোতায়িত নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দিলে হাঙ্গামা বাঁধে। দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৬৮টি কেন্দ্রে সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বহু কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা-৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তাছাড়া বহু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক বা দু-ঘণ্টা পর বিকল হয়ে যায় বহু ইভিএম।