খোয়াই রোজভ্যালি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে নেওয়ায় গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৩ এপ্রিল৷৷ খোয়াই রোজভ্যালি কার্যালয়ে  প্রশাসনের  অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা এবং অফিসের কাগজপত্র ও আসবাবপত্র হাত দেওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকলেও  ঐ নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রোজভ্যালির ম্যানেজার দ্বিতীয় দফায় সরিয়ে নিল গোপন নথিপত্র৷ এই ঘটনায়  ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয় খোয়াই মহকুমায়৷ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া  খোয়াই রোজভ্যালি অফিসের ম্যানেজার সুদীপ্ত হালদার আগরতলায় বসে অত্যন্ত Image0897গোপনে  রবিবার ছুটির দিনে রোজভ্যালির পুরনো কার্যালয় থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ  নথি গাড়ি দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ সংবাদে জানা যায়, সুদীপ্ত হালদার খোয়াইস্থিত তার সাকরেদদের সহায়তায় টিআর০১জেড-১৬৭৪ নম্বরের একটি লাল রং এর অটো মিনি ট্রাক ভাড়া নেয়৷ প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে আজ সকালে খোয়াই মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ণ রোজভ্যালির পুরাতন কার্যালয়ের  দরজা খুলে দুই তিনজন শ্রমিক ঘরে  প্রবেশ করে  বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়৷ রবিবার ছুটির দিনে এমনিতেই শহর থেকে খালি, সে সঙ্গে আজ দিনভর বৃষ্টি থাকার ফলে শহর থাকে শুনশান৷ আর এই সুযোগটাকে  কাজে লাগিয়ে রোজভ্যালির ম্যানেজার প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শ্রমিক পাঠিয়ে কয়েক দফায় অফিসের কাগজপত্র সবই খালি করে নেয়৷  অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে শ্রমিকরা পরবর্তীতে পুরাতন অফিসের আসবাবপত্র গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে অফিস রোডের নতুন পাকাবাড়ি কার্যালয়ে৷ গোপনে এভাবে আসবাবপত্র স্থানান্তর এর বিষয়টি  নিয়ে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ  হয়৷ খবর যায় মহকুমা প্রশাসনের কানেও৷ মহকুমা প্রশাসনের তৎপরতায় অফিস রোডের নতুন রোজভ্যালি কার্যালয়ের সামনে ছুটে আসে পুলিশ৷ পুলিশ আসার আগেই শ্রমিকরা নতুন কার্যালয়ের গেইট তালা লাগিয়ে টিআর০১-জেড-১৬৭৪ নম্বর গাড়িটি নিয়ে পালায়৷ শহরের উপর একটি চিটফান্ড সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি ও আসবাবপত্র বিনা অনুমতিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ কয়েক মাস পূর্বে ঠিক একই কায়দায় ঐ ম্যানেজার বিনা অমুতিতে রোজভ্যালির পুরানো কার্যালয় থেকে নথিপত্র, ফর্ম, ইত্যাদি সামগ্রী গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় মহকুমা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পর্যবেক্ষক অভিজিৎ করে তা হাতে নাতে ধরে ফেলেন৷ এই ঘটনার পর ঐ ম্যানেজারকে মুচলেকা দিতে হয় রোজভ্যালির কোন কাগজপত্র গায়ের হলে  তার জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন৷ মুচলেকা দেওয়ার পরও পুরনায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে জনমনে সন্দেহ বাড়ছে৷ প্রশ্ণ উঠছে খোয়াই প্রশাসন যে জায়গায় রোজভ্যালির কাগজপত্র, আসবাবপত্র, ইত্যাদিতে হাত লাগানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন সে জায়গায় ম্যানেজার সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গোপনে এত বড় দুঃসাহস দেখায় কি করে৷ এখন দেখার খোয়াই জেলা প্রশাসন ঐ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন৷